
ভারতের উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার বাসিন্দা পূজা দেবী (৩৬)। মা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে বাস করা এই নারীর বিড়াল খুব পছন্দ। রাস্তায় বিড়াল দেখলেই ধরে আদর করেন। বাড়িতে পালেন কয়েকটি।
গত বৃহস্পতিবার পূজার পোষ্য বিড়ালটি মারা যায়। শোকে কাতর পূজা সেই বিড়ালের
মরদেহের সঙ্গে তিনদিন ধরে ছিলেন। আশায় ছিলেন, জীবিত হবে বিড়ালটি। কিন্তু তার আশায় বালি।
বিড়ালের মৃত্যুর কষ্ট সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এ নারী।
আমরোহার পুলিশ কর্মকর্তা দীপ কুমার পন্ত বলেন, পোষ্য বিড়ালের আকস্মিক
মৃত্যু সইতে পারেননি পূজা। বিড়ালের মরদেহ দাহ করতে পারেননি। তার আশা ছিল, হয়তো ফিরে
আসবে পোষ্য। আর সেই ভাবনা থেকেই মৃত পোষ্য বিড়ালের দেহ সঙ্গে নিয়ে তিনদিন কাটিয়েছেন
পূজা।
তিনি আরও বলেন, বিড়ালের মৃত্যতে গত শনিবার রাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন
পূজা। রাতে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এ নারীকে। পুলিশের ধারণা, মৃত বিড়াল
ফিরে না আসাতেই এমন পদক্ষেপ নেন পূজা।
পুলিশ বলছে, অবসাদ থেকে এমনটা করেছেন পূজা। বহু বছর ধরে অবসাদে ভুগছিলেন
তিনি। তার চিকিৎসাও চলছিল।
দীপ কুমার পন্ত বলেন, পোষ্যের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি পূজা। এছাড়াও
কিছু বছর আগে তার বাবার মৃত্যু হয়। তার দুই ভাইয়েরও মানসিক সমস্যা রয়েছে। মা গজরা দেবী
জানান, নিজের সন্তানের মতো করে এ বেড়ালকে প্রতিপালন করছিলেন পূজা। পোষ্য মারা যেতে
কিছুতেই তাকে দাহ করতে দিচ্ছিলেন না তিনি।