
একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, বিতর্কিত মন্তব্য ও হুমকির জেরে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে ট্রাম্পবিরোধিতা। ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুকে ঘিরে আবারও আলোচনার তুঙ্গে তিনি। জেলেনস্কি কাণ্ড নিয়ে যেখানে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের বিপরীতে অবস্থান করছে, ঠিক এমন সময়ই ঝোপ বুঝে কোপ মারলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করা নিয়ে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে আবারও শক্ত অবস্থান নিলেন তিনি।
সোমবার এ বিষয়ে ব্রিটেনের রাজা চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে বৈঠক করেন ট্রুডো। সিএনএন।
চার্লসের সঙ্গে বৈঠকের সময় কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রসঙ্গটি তুলে আনেন ট্রুডো। তবে বিষয়টি নিয়ে আগের দিন রোববার সাংবাদিকদের ট্রুডো বলেন, বরাবরের মতো আমরা কানাডা এবং কানাডিয়ানদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমি আপনাদের বলতে পারি–কানাডিয়ানদের কাছে আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা যে কোনো কিছুর ঊর্ধ্বে।’
এরপর কানাডাকে শোষণ করার নিন্দা জানিয়ে ট্রুডো আরও বলেন, কানাডাকে নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি বাস্তব জিনিস এবং এটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
এরপর সাংবাদিকরা ট্রুডোকে পালটা প্রশ্ন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ট্রুডো কানাডার সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলতে বলেছেন কিনা। জবাবে ট্রুডো বলেন, আমাদের মিত্ররা কানাডার নির্ভর থাকতে, কানাডাকে শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতা রক্ষার্থে সর্বদা কাজ করবে।
কিন্তু এর আগে বৃহস্পতিবার যখন হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে কানাডা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করে তখন স্টারমার বলেন, সাংবাদিকরা ওয়াশিংটন এবং লন্ডনের মধ্যে একটি বিভাজন খুঁজছেন, যার অস্তিত্ব নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবচেয়ে কাছের জাতি এবং আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আমরা কানাডা নিয়ে আলোচনা করিনি।
এ বিষয়ে গত শুক্রবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে স্টারমারের মন্তব্যের পরে কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়েছে। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ডিএনএতে রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পক্ষে আছেন বলে জানিয়েছেন বিদায়ি প্রেসিডেন্ট ট্রুডো। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি দেশটির অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।