প্রতি সপ্তাহে ২ শিশুকে হত্যা করছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৬ পিএম

২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে গড়ে দুটি ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।
শনিবার আল-মায়াদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা ক্রমশই সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসন শুরুর পর থেকে। এই সহিংসতা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির পর আরও তীব্র হয়েছে।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। যা ২০২৪ সালের বার্ষিক গড় ৯৩টি শিশুহত্যার সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ বর্বর ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ব্যবহৃত দমনমূলক কৌশল এখন পশ্চিম তীরেও প্রয়োগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা, সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা ধ্বংস করা এবং সৈন্যদের জন্য ‘নিয়ম শিথিলকরণ’, যা তাদের আগের চেয়ে আরও স্বাধীনভাবে গুলি চালানোর অনুমতি দিচ্ছে।
এই পরিবর্তনকে ‘গাজাফিকেশন’ বলা হচ্ছে। যা গাজা উপত্যকার মতো পশ্চিম তীরেও সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের নতুন বাস্তবতা নির্দেশ করছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৪৮,৩৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
শনিবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে নিহত ও আহতদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় আরও দুজন নতুন করে নিহত এবং ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে ২৩ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮,৩৮৮-এ এবং আহত হয়েছে ১,১১,৮০৩ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অগণিত মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,০০০-এরও বেশি হতে পারে। কারণ হাজারো নিখোঁজ ব্যক্তিকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।