ট্রাম্পের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা, জেলেনস্কির পাশে দাঁড়ালেন স্টারমার-আলবানিজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রতি ‘নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন’ দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজও যত দিন প্রয়োজন ‘ইউক্রেনের পাশে থাকার’ কথা বলেছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডার পর দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন বিশ্বনেতারা। কেউ সমর্থন জানাচ্ছেন জেলেনস্কিকে আবার কেউ ট্রাম্পকে।
ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর কিয়ার স্টারমার উভয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইউক্রেনের জন্য সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ভিত্তিতে একটি স্থায়ী শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার উপায় খুঁজে পেতে তাঁর পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব, তার সবই তিনি করছেন।’
এদিকে ট্রাম্প-জেলেনস্কি উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর শনিবার (১ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ শুধু নিজেদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করছেন না, তারা আন্তর্জাতিক আইনের রক্ষার জন্যও লড়াই করছেন।’
সিডনিতে সাংবাদিকদের আলবানিজ আরও বলেন, ‘যত দিন প্রয়োজন পড়বে, তত দিন আমরা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াব। কারণ, এটা একটি গণতান্ত্রিক দেশ বনাম ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে কর্তৃত্ববাদী দেশের লড়াই। স্পষ্টতই তাঁর উদ্দেশ্য কেবল ইউক্রেন নয়, সমগ্র অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদের বিস্তার।’
কয়েক বছর ধরেই মস্কো ও ক্যানবেরার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আক্রমণ করে, তখন এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ইউক্রেনকে ৯৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের যুদ্ধসহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।