ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত ট্রাম্প, রয়েছেন জেলেনস্কির অপেক্ষায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৫ এএম

ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে চলমান সংঘাত ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে স্বাগত জানান। ইউরোপের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতার শুল্ক আরোপের হুমকি এবং নিরাপত্তার জন্য যেন ওয়াশিংটনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনে, এ রকম প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়েও চিন্তিত। এবং দ্রুত সমাধানের জন্য ভলোদিমির জেলেনেস্কির জন্য অপেক্ষা করছেন।
ট্রাম্প অবশ্য কিয়েভকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
প্রদানের ব্যাপারে কোন প্রতিশ্রুতি দেননি। এমনকি স্টারমার যে শর্তটি চেয়েছিলেন যে ইউক্রেন
ও রাশিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য সন্ধি কার্যকর রাখতে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষীদের সহযোগিতার জন্য
যুক্তরাষ্ট্র পেছনে থাকবে। সে প্রস্তাবেও ট্রাম্প সাড়া দেননি।
ইউক্রেনে ভবিষ্যতে সৈন্য মোতায়েনর ব্যাপারে
ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের প্রস্তাবটি সমর্থন করে
তবে পোল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশ সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুক্রবার ইউক্রেনের
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। জেলেনস্কির প্রশংসা করে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা
ইউক্রেনকে প্রচুর অর্থ এবং প্রচুর অস্ত্র দিয়েছি। কিন্তু যেভাবে ইউক্রেন লড়াই করেছে,
তা তারিফযোগ্য। আমরা ওকে সম্মান করি। আমি ওকে সম্মান করি।’
একইসঙ্গে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি থাকলে
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না। একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপে যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজন
বলে দাবি করেছেন তিনি, ‘রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জেলেনস্কি দুজনের সঙ্গেই দারুণ কথা হয়েছে। শান্তিচুক্তি
হয় দ্রুত ঘোষিত হবে নইলে কখনো হবেই না।’
স্টারমার অবশ্য বলেছেন, শান্তি চুক্তি
অত্যন্ত জরুরি। যেভাবেই হোক তা বাস্তবায়িত করতে হবে। তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে রেখেছেন,
শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আগ্রাসনকারী যাতে অতিরিক্ত সুবিধা না পায়, সে দিকে খেয়াল
রাখা হবে।
স্টারমার বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ সম্মত যে আমরা স্থায়ী
শান্তি চাই। কেবল অস্ত্রবিরতি নয় আর সে জন্য আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রয়োজন। তিনি
আরও বলেন, ইউক্রেনের শান্তি চুক্তির জন্য ব্রিটেন তার পক্ষে সবটুকুই করবে। তবে পেছনে
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও শান্তি
চুক্তি নিয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দুদিকের সমস্যা মেটানোর বিষয়ে
ভূমিকা পালন করেছে। পৃথিবীজুড়ে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তা ফের সুনিশ্চিত করতে
দুই পক্ষই দারুণ আলোচনা করেছে। এভাবে পৃথিবাীর নিরাপত্তা ফের সুনিশ্চিত করা সম্ভব।’
একইসঙ্গে ইউরোপের নেতাদের সমালোচনা করেছেন পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ভাষায়, আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার দুর্দান্ত সম্পর্ক ইউরোপের কিছু ব্যক্তি মেনে নিতে পারছেন না। এই সম্পর্ক যাতে দানা না বাঁধে তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পুতিন মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের নেতাদের দিকে আঙুল তুলেছেন।