Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিজেপির আয়ু আর ২-৩ বছর আছে: মমতা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

বিজেপির আয়ু আর ২-৩ বছর আছে: মমতা

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আয়ু আর ২-৩ বছর আছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মতে, ২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপির ক্ষমতা শেষ। ২০২৬ সালে আবার খেলা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর আনন্দবাজারের। 

এ ছাড়া আগামী বিধানসভা ভোটে দুই শতাধিক আসন পেতেই হবে বলেও দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ এই নেত্রী। ভারতের এই রাজ্যটির পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দলের মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ এই নেত্রী।  

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিতে চান মমতা। 

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫টা আসন পেতেই হবে। অভিষেক ঠিকই বলেছে। আসন আরও বেশি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ২১৫টা আসনের কম কোনও মতেই নয়। এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের জামানত জব্দ করার পালা।

পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করার জন্য বিজেপি বারবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এজেন্সির তৎপরতাও ততই বাড়বে। সব মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে। সবাইকে ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়। ইলেকশন এলেই মনে পড়ে তৃণমূলের চার্জশিট দিতে হবে। তৃণমূলের কাকে কাকে চোর বলা হবে। কাকে কাকে জেলে ঢোকানো হবে।

এ ছাড়া বিজেপির আয়ু নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দাবি, মহারাষ্ট্র-দিল্লিতে ওরা বিজেপির খেলা ধরতে পারেনি। বাংলায় আমরা ধরব। যোগ্য জবাব দেব। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু ২-৩ বছর।

মমতার দাবি, বাংলায় এজেন্সি পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পাঞ্জাব-হরিয়ানার বহু লোকের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। দিল্লি থেকে এ সব করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই এ সব করা হচ্ছে।

কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, ভোটার তালিকা পরিষ্কার করতে হবে। তার কথায়, ২০২৬ সালে আবার খেলা হবে। সেই কাজটা শুরু হবে ভোটার তালিকা পরিষ্কার করার মধ্যে দিয়ে। জেলা সভাপতিদের বলব, বুথ কর্মীদের মাঠে নামান। প্রয়োজনে নির্বাচনের কমিশনের দপ্তরে ধর্না দেব।

মমতা বলেন, ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এ সব করানো হয়েছে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে, তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার লোক যখন ভোট দিতে যাবে, বাইরের ভোটারের নামে চলে যাবে। মুর্শিদাবাদের ভোটারগুলোকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে আসবে। মুর্শিদাবাদের নেতারা সতর্ক থাকুন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম