শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান কিমের

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম

যে কোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য আধুনিক ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
একটি সামরিক অ্যাকাডেমি পরিদর্শনে গিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমর্থন জানাতে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় হাজার হাজার সেনা পাঠানোর পর কিমের কাং কন মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে এটাই প্রথম ভ্রমণ। এই সপ্তাহে কিম আরেকটি অভিজাত ক্যাডার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান কিম ইল সুং ইউনিভার্সিটি অব পলিটিক্স পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সামরিক আনুগত্য ও ত্যাগের ওপর জোর দেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, কিমের আগের সামরিক ইউনিট ও প্রশিক্ষণ স্থান পরিদর্শন রাশিয়ায় আরও সেনা পাঠানোর প্রস্তুতির অংশ হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক একাডেমির সর্বশেষ পরিদর্শনের সময় কিম দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষাগত সুযোগ-সুবিধার সমালোচনা করে বলেছেন-এটি একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনে ক্ষমতাসীন দলের আধুনিকতা ও উন্নত চরিত্রের সাধনা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ সময় কিম জং উন সুযোগ-সুবিধাগুলো সংস্কার ও শিক্ষাকে গতিবেগ করে অনুশীলনে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। যাতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পারে এবং উন্নত অস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জামগুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের সঙ্গে যথাযথভাবে খাপ খাইয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন কিম।
এর আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, সামরিক প্রস্তুতি বাড়াতে হবে এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে কোনো সীমাবদ্ধতা রাখা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য পারমাণবিক শক্তি বাড়ানো প্রয়োজন। সে সঙ্গে দেশের আত্মরক্ষার ক্ষমতা সীমাহীনভাবে উন্নত করার ওপরও জোর দেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতাকে কিম উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বড় হুমকি হিসাবে উল্লেখ করেন।