ইস্তাম্বুলে বসছেন রুশ-মার্কিন কূটনীতিকরা, জানা গেল আলোচ্য বিষয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম

বহুল আলোচিত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা।তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্যও জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
তিনি বলেন, এই বৈঠকে মূলত উভয় দেশে দূতাবাস পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা হবে।
বুধবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। খবর তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছি যে আমাদের কূটনীতিক ও উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা একটি বৈঠকে মিলিত হবেন এবং আগের মার্কিন প্রশাসনের বেআইনি কার্যক্রমের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। যেসব বাধার কারণে রাশিয়ার দূতাবাসের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে এবং পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আমরা মস্কোতে মার্কিন দূতাবাসের কাজেও কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছি।
ল্যাভরভ আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ইস্তাম্বুলের বৈঠকের পরই পরিষ্কার হবে যে, উভয় পক্ষ কত দ্রুত এবং কার্যকরভাবে এগিয়ে যেতে পারে’।
ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা নাকচ
এদিকে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, সব পক্ষের সম্মতিতে এটি সম্ভব হতে পারে, তবে রাশিয়ার অনুমোদন কখনোই চাওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে। তবে এই প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এই আলোচনার অংশ হিসেবে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে উভয় পক্ষ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়।
তবে এ আলোচনায় ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করায় দেশটির নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের পেছনে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কিকে ‘একনায়ক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ইউক্রেনকে যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি জাতিসংঘেও দুটি বিষয়ে ভোটে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা ইউক্রেনের মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই ঘটনাবলী ইঙ্গিত দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া ইউক্রেনকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা করছে। যা মূলত ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।