শান্তি চুক্তি মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ নয়: ম্যাক্রোঁ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধ বন্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ করা নয় বলেও মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেই সঙ্গে কিয়েভের যেকোনও শান্তি চুক্তি অবশ্যই নিরাপত্তা গ্যারান্টিসহ হতে হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘এই শান্তি অর্জন মানে ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হওয়া উচিত নয়। কোনও ধরনের নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতিও হওয়া উচিত নয়। ’
ট্রাম্প অবশ্য নিজে থেকে কোনও ধরনের নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি রক্ষার খরচ এবং বোঝা ইউরোপীয় দেশগুলোকেও বহন করতে হবে, কেবল যুক্তরাষ্ট্র এটা করবে না।
জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপ ‘নিরাপত্তার বোঝা আরও ন্যায্যভাবে ভাগ করার’ প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। রুশ আগ্রাসনের তৃতীয় বার্ষিকীতে আলোচনা আরও এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত মাসে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা প্রথম ইউরোপীয় নেতা হচ্ছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে ‘আমার দৃষ্টিতে একজন বিশেষ মানুষ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ম্যাক্রোঁ এবং ট্রাম্পের মধ্যে এই বৈঠকে ইউক্রেনের শান্তি প্রক্রিয়া এবং ইউরোপের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ম্যাক্রোঁ জানান, উভয় নেতা একটি ‘দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি’ চান। তিনি ঘোষণা দেন, ইউরোপ প্রতিরক্ষা খাতে ‘ব্যয় বৃদ্ধি’ করতে প্রস্তুত। এছাড়া ইউরোপ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য একটি সম্ভাব্য চুক্তির গ্যারান্টি হিসেবে ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে ‘রাজি’ আছেন।