
প্রিন্ট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৫ এএম
জার্মানির চ্যান্সেলর হতে প্রস্তুত কে এই ফ্রিডরিখ মের্ৎস?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

আরও পড়ুন
যিনি এর আগে কখনোই কোনো সরকারি দায়িত্ব পালন করেননি, সেই ফ্রিডরিখ মের্ৎসই হতে চলেছেন জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর। আর এটি এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে, যখন দেশটি অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার অনুষ্ঠিত দেশটির জাতীয় নির্বাচনে মের্ৎসের কনজারভেটিভ দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে, যা তাকে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে।
কে এই মের্ৎস?
৬৯ বছর বয়সি মের্ৎস একসময় পরাজিত রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। তবে ২০২২ সালে কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বে আসার মাধ্যমে তার প্রত্যাবর্তন ঘটে। আগের দুই প্রচেষ্টায় (২০১৮ ও ২০২১) ব্যর্থ হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি দলের প্রধান নির্বাচিত হন।
মের্ৎস মূলত একজন রক্ষণশীল রাজনীতিক।তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী উলফগ্যাং শোয়েবলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ২০০০-এর দশকে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট দলের পার্লামেন্টারি নেতা ছিলেন।
১৯৮৯ সালে ইউরোপীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া মের্ৎস পশ্চিম জার্মানির সামাজিকভাবে রক্ষণশীল সাউয়ারল্যান্ড অঞ্চলের প্রতিনিধিও ছিলেন। তবে পূর্ব জার্মানিতে তার জনপ্রিয়তা তুলনামূলক কম।
এএফডি ও রাজনৈতিক অবস্থান
মের্ৎস দলের কেন্দ্রবাদী অবস্থান থেকে সরে এসে ডানদিকে ঝুঁকতে চেয়েছিলেন। যাতে চরম ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (AfD) দুর্বল হয়। তবে তার নেতৃত্বে AfD-র জনপ্রিয়তা দ্বিগুণ হয়ে গেছে (১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ)।
সম্প্রতি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে তিনি পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা AfD-র সমর্থন ছাড়া পাস করা সম্ভব ছিল না। এতে মের্ৎসের ওপর আস্থা যদিও কমেছে এবং তার সম্ভাব্য কোয়ালিশন সঙ্গীরা সংশয় প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন নীতি
মের্ৎস ট্রাম্পের নতুন আমলের জন্য উপযুক্ত নেতা হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সাবলীল ইংরেজি ভাষী।এমনকি তিনি ইউক্রেনকে টরাস ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোরও পক্ষে, যা বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আটকে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ
মের্ৎস যদি জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন, তাহলে তিনিই হবেন জার্মানির প্রথম ব্যক্তি, যিনি এর আগে কোনো সরকারি দায়িত্ব পালন করেননি।
এদিকে জার্মানির বর্তমান সংসদে ৭টি দলের প্রতিনিধিরা অবস্থান নিতে পারে, ফলে সরকার গঠনে তাদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে।
তবে এরইমধ্যে প্যারিসবাসী মের্ৎসের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনায় দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত। কারণ এতে জার্মানির অস্থির নেতৃত্বের অবসান হতে পারে।তবে চূড়ান্ত ফলাফল কী হবে, তা নির্ভর করবে জোট গঠনের আলোচনার ওপর।সূত্র: এনডিটিভি