জার্মানির নির্বাচনে এগিয়ে কট্টর ডানপন্থিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম

জার্মানিতে শুরু হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। জার্মানির এবারের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের ব্যালটে উগ্র ডানপন্থি দল আলটেরনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) এগিয়ে আছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি, রয়টার্স।
জার্মান পার্লামেন্টের ৬৩০ আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৯টি দলের মোট ৪ হাজার ৫০৬ জন প্রার্থী। ভোট দিচ্ছেন প্রায় ৫ কোটি ৯২ লাখ ভোটার। পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে জার্মানির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ডানপন্থি বিরোধী দল সিডিইউর জয় এখন সময়ের ব্যাপার। ঐতিহাসিক ফলাফলের প্রত্যাশা করছে উগ্র ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। সিডিইউর নেতা ফেডিরিখ মার্জ নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে এগিয়ে থাকলেও ব্যাপক আধিপত্য কায়েম করবেন এই সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ ক্ষেত্রে জোট সরকার গঠনের দিকেই ঝুঁকতে হতে পারে। রাজনৈতিক দল পরিবর্তনের কারণে সংকুচিত অর্থনীতিতে ধুঁকতে থাকা জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা বাস্তবায়ন হোঁচট খেতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
এর আগে নির্বাচনি প্রচারে দুই পক্ষের মধ্যে অভিবাসন, অর্থনীতি ও এএফডির উঠতি জনপ্রিয়তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক লক্ষ্য করা যায়। দেশটির চিরায়ত রাজনৈতিক পরিবেশে উগ্র ডানপন্থি দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের নজির না থাকলেও নির্বাচনের পর এই ধারায় ব্যত্যয় ঘটতে পারে বলে ধারণা অনেকের। এই ধারণার বাস্তবায়ন স্পষ্ট হয় এএফডির অবসরপ্রাপ্ত পোলিং এজেন্ট লুডমিলা বার্লহর্নের বক্তব্যে।
৭৬ বয়সি এই নারী বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আমি ভীষণ বিরক্ত। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। এ অবস্থায় বিকল্প দলই পরিবর্তন আনতে পারে।’
গেল বছর ওলাফ সরকার প্রস্তাবিত বাজেট মুখ থুবড়ে পড়ার পর দেশটিতে জন-অসন্তোষ বেড়েছে। সাম্প্র্রতিক এক জরিপ থেকে জানা গেছে, জার্মানির মাত্র ২৭ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নত হয়েছে। এদিকে জোট সরকার ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে জার্মান প্রশাসনের কর্মকর্তা মাইক জেলার বলেছেন, ‘মনে-প্রাণে প্রার্থনা করছি যেন সামনের সারির দলগুলো জোট সরকারে এএফডিকে অন্তর্ভুক্ত না করে।’
ইউরোপের এই ক্রান্তিকালে জার্মানির নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব।