পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৩ এএম

পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু করেছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক্সপ্রেস নিউজ জানিয়েছে, প্রথম সরকারি অনুমোদিত পণ্যের চালানটি এখন পাকিস্তানের পোর্ট কাসিম থেকে যাত্রা শুরু করেছে।
এটি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ৫০,০০০ টন চাল কেনার চুক্তি করেছে, যা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব পাকিস্তান (টিসিপি) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তিটি ফেব্রুয়ারির শুরুতে চূড়ান্ত করা হয়।
চালের এই চালান দুটি ধাপে বাংলাদেশে পৌঁছানো হবে, এর প্রথম ২৫,০০০ টন কনসাইনমেন্ট বর্তমানে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে। দ্বিতীয় ব্যাচটি মার্চের শুরুতে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং সরাসরি শিপিং রুটের মাধ্যমে বাণিজ্য প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করবে।
এটি প্রথমবারের মতো, পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশনের (পিএনএসসি) একটি জাহাজ সরকারি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বন্দরমুখী হবে, যা সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে এবং কয়েক দশক ধরে অচল থাকা বাণিজ্য চ্যানেল পুনরায় খুলে দিতে সহায়ক হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য এবং শিপিং সম্পর্ক পুনরায় শুরু হয়। এবার সরকারি পর্যায়ে পণ্য আসছে পাকিস্তান থেকে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করবে। বর্তমানে উভয় দেশ সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।