লেবাননে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের সফর, শান্তি ও স্থিতিশীলতার আশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা এবং ইসরাইল-লেবানন সম্পর্কের মধ্যে স্থিতিশীলতার আশা করা হচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান রনি জ্যাকসন শনিবার বৈরুতে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান পরিবর্তনগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র লেবানন ও অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার নতুন যুগ দেখতে চায়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই প্রতিশ্রুতি দেন রনি জ্যাকসন। বৈঠকে লেবাননের সরকার ইসরাইলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করার দাবি তুলেছে, যাতে ইসরাইলি সেনারা লেবাননের পাঁচটি কৌশলগত জায়গা থেকে ফিরে যায়, যেগুলো এখনও দখল করে আছে।
প্রেসিডেন্ট আউন শুক্রবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসম্যান ড্যারেল ইসা এবং তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। বৈঠক শেষে, ইসা বলেছেন, ইউএন রেজোলিউশন ১৭০১ পৌঁছাতে অনেক বছর লেগেছিল, তবে ৬০ দিনের মধ্যে আমরা লেবানন এবং ইসরাইলের মধ্যে প্রায় পূর্ণ সহযোগিতা দেখতে পেয়েছি।
তিনি বলেন, ইসরাইল অধিকাংশ লেবানীজ ভূখণ্ড থেকে সরে গিয়েছে, শুধু পাঁচটি এলাকা বাকি রয়েছে। লেবানন সেনাবাহিনী এখন লেবানীজ ভূমির উপর নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করেছে। তবে, এখনও কিছু বড় অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়নি এবং প্রতিদিন নতুন গোপন সুড়ঙ্গ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও জানান, এটা নিশ্চিত, রেজোলিউশন ১৭০১ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন অবশ্যই হবে, যার মধ্যে ইসরাইলের ঐতিহাসিক সীমান্তে ফিরে আসা এবং দুই পক্ষের জন্য সীমানা নিরাপদ থাকবে।
এদিকে, লেবানন সেনাবাহিনী ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সব সামরিক কর্মীদের কাজে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। এই পদক্ষেপ সাবেক হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং হাশেম সাফিয়েদ্দিনের মৃত্যুর পর তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলার আশংকা থাকা সত্ত্বেও, লেবানন সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে ইসরাইল এবং বাইরের স্থান থেকে আগত বহু অতিথি ও প্রতিনিধির জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানটি ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ইরানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া, আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলগুলোতে অস্ত্র ও গুলির অস্তিত্ব এবং ইসরাইলি বাহিনীর হামলার আশঙ্কার মধ্যে, এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানটি একটি বিশাল আয়োজন হিসেবে গড়ে উঠছে।