স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলেই সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি অর্জনের লক্ষ্যে একটি নতুন প্রস্তাবের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরাইলি সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখপাত্র হাজেম কাসেম।
বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
হামাস বলেছে, দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট সব ইসরাইলি জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে। বিনিময়ে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তবে ইসরাইল এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
বরং দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি বর্ধিত করার লক্ষ্যে আসন্ন আলোচনায় ইসরাইলের শর্ত হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং গাজায় তাদের কোনো উপস্থিতি না রাখা।
পাশাপাশি, যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকা না রাখা।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মিদের মুক্তি তখনই সম্ভব হবে যখন ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবে এবং গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করবে।
হাজেম কাসেম আরও বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধে হামাস মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে এবং দাবি করেছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
কাসেম জানিয়েছেন, ‘হামাসকে গাজা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ইসরাইলের যে দাবি, সেটি হাস্যকর। এটি কেবল একটি মনস্তাত্বিক কৌশল। প্রতিরোধ চলবে, নিরস্ত্রীকরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘গাজার ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।’
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে আলোচনা হয়। এটি ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শুরু হয়নি।
ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম কান নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু গাজার সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণেরও দাবি জানিয়েছেন। বৈঠকের পর মঙ্গলবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর বলেছেন, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ‘এ সপ্তাহেই’ শুরু হবে।
এ পর্যায়ে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের সমাপ্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আসন্ন আলোচনায় ইসরাইলের অবস্থান সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে সা’আর সতর্ক করে বলেছেন, ‘জেরুজালেম গাজায় হামাস বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের উপস্থিতি মেনে নেবে না।’
তবে তিনি বলেছেন, আলোচনায় গঠনমূলক অগ্রগতি হলে ইসরাইল আলোচনার সময়সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহী থাকবে এবং যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত হতে পারে। সা’আর বলেছেন, ‘যদি আলোচনায় ইতিবাচক দিক থাকে এবং চুক্তিতে পৌঁছানোর বাস্তব সম্ভাবনা থাকে, তবে আমরা এই সময়সীমা আরও দীর্ঘ করব।’