Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

রাশিয়া-ইউক্রেন ও ন্যাটো ইস্যুতে কী ভাবছেন বিশ্ব নেতারা?

নাজমুশ শাহাদাৎ

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম

রাশিয়া-ইউক্রেন ও ন্যাটো ইস্যুতে কী ভাবছেন বিশ্ব নেতারা?

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য আলোচনা শুরু করতে প্রতিনিধি দল নিয়োগে সম্মত হয়েছে।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশ কোনো চুক্তির অধীনে ইউক্রেনে ন্যাটো দেশগুলোর শান্তিরক্ষী বাহিনী গ্রহণ করবে না। 

রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট (ন্যাটো) ইউক্রেনকে তাদের সদস্য করার বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেখান থেকে সরে আসতে হবে। 

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সামরিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ন্যাটো ২০০৮ সালে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেখান থেকে সরে আসতে হবে। 

মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ রাশিয়ার কাছে অগ্রহণযোগ্য।  

জার্মানির দাবি, রাশিয়া ন্যাটোর জন্য হুমকি

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বার্লিনের কর্মকর্তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মতবিরোধকে আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। 

বুধবার সকালে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস দাবি করেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ হলেও ন্যাটো সদস্যদের জন্য রাশিয়ার হুমকি রয়ে যাবে। 

পিস্টোরিয়াস দাবি করে বলেছেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন যে, ৪ থেকে ৭ বছরের মধ্যে রাশিয়া ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর ভূখণ্ডে আক্রমণ করতে পারে’।

ইউক্রেনকে ইইউতে যোগদানের বিষয়ে ‘হ্যাঁ’ ন্যাটোতে ‘না’ রাশিয়ার 

মঙ্গলবার সৌদি আরবে মার্কিন ও রুশ প্রতিনিধি দলের মধ্যে এক বৈঠকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের অধিকার আছে, তবে ন্যাটো ভিন্ন। 

পেসকভ আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের যোগদান প্রতিটি দেশের সার্বভৌম অধিকার এবং অন্য দেশের জন্য এই বিষয়ে কারো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা এবং ন্যাটোর মতো সামরিক জোটের সদস্যপদ সম্পূর্ণ ভিন্ন শর্ত বহন করে এবং এ বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান বেশ স্পষ্ট।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন: রাশিয়া শান্তি চায় না!

এদিকে ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা কালাস দাবি করেছেন, ‘ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে কথা বলাটা এখন খুবই জরুরি। কারণ রাশিয়া শান্তি চায় না’! 

মঙ্গলবার এক বকৃতায় তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউক্রেনের পরিস্থিতির ওপর মনোযোগ দিতে হবে, যাতে এটি রাশিয়ার সঙ্গে একটি খারাপ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করতে পারে’। 

এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দূত রোডিয়ন মিরোশনিক জোর দিয়ে বলেছিলেন, মস্কোর সম্মতি এবং চুক্তি ছাড়াই ‘শান্তিরক্ষী’ ছদ্মবেশে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে প্রবেশকারী বাহিনীই রুশ সশস্ত্র বাহিনীর বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।

রিয়াদ আলোচনা ন্যাটোর সমাপ্তি ঘটাতে পারে: মার্কিন বিশ্লেষক

এদিকে পেন্টাগনের সাবেক বিশ্লেষক মাইকেল মালুফ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদে মার্কিন ও রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা ন্যাটোর সমাপ্তি ঘটাতে পারে। 

ম্যালুফ বিশ্বাস করেন, ন্যাটোর অবসানের অর্থ হলো ইউরোপ অবশেষে প্রতিরক্ষা এবং আঞ্চলিক জোট তৈরি করতে পারে। কিন্তু এটি আর ৩২টি দেশের মধ্যে একটি সুসংগত সামরিক জোট প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। 

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় দেশগুলো কখনোই কোনো বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে না। ঠিক যেমন বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোতে কোনো সমন্বয় নেই। 

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন যুদ্ধ


আরও পড়ুন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম