শনিবার ৬ জিম্মি ও ৪ জনের লাশ হস্তান্তর করবে হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২২ পিএম

ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে নিজেদের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
সংগঠনটির প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়্যা মঙ্গলবার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আগামী শনিবার ৬ ইসরাইলি জিম্মি এবং চার বন্দির লাশ হস্তান্তর করা হবে।
হাইয়্যা বলেন, প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তি যাতে পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বিশেষ করে কাতার ও মিশরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে হামাস।
এ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি মেনে চলার ব্যাপারে হামাস নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে জানিয়ে খলিল আল-হাইয়্যা বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল চুক্তির শর্তগুলো ঠিকমতো পালন করছে না। বিশেষ করে তারা এখনো গাজাবাসীর ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে এবং উপত্যকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না।
গাজায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হয়। তিন পর্যায়ে বাস্তবায়নযোগ্য এই চুক্তির ৪২ দিনব্যাপী প্রথম পর্যায়ে ৩৩ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি কারাগারগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
সে অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১৯ ইসরাইলি জিম্মিকে ছেড়ে দিয়ে অন্তত ১,১০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করেছে হামাস। বাকি যে ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছে বলে ইসরাইলি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
চলমান প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি আগামী ১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও এর ২৬ দিন আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গড়িমসির কারণে তা এখনো সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে গত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত উপত্যকাটিতে সব সূত্রের হিসাবে মতে ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ।
তবে চলমান যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় কার্যকর হলে গাজা যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র: মেহের নিউজ