Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের মধ্যেও দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তুরস্ক ও ইউক্রেন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম

যুদ্ধের মধ্যেও দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী তুরস্ক ও ইউক্রেন

তুরস্ক ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা করেছে দুই দেশ।  

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্ক সফরে এসে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তির প্রাক্কালে ইউক্রেন সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর এটি জেলেনস্কির তৃতীয় তুরস্ক সফর। সর্বশেষ তিনি ২০২৪ সালের মার্চে তুরস্ক সফর করেছিলেন।  

বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার

শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের আগে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমের বলাত ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিদেনকো এবং কৃষিমন্ত্রী ভিতালি কোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন।  

উভয় পক্ষ যুদ্ধের মাঝেও শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলাত পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অটল সমর্থন অব্যাহত রাখবে।  

শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা 

ন্যাটো সদস্য তুরস্ক, যুদ্ধরত রাশিয়া ও ইউক্রেন—এই দুটি দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে।  শুধু তাই নয়, তুরস্ক নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী ও সম্ভাব্য শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে উপস্থাপন করছে।  

আঙ্কারা ইউক্রেনকে সামরিক ড্রোন সরবরাহ করেছে, তবে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে বিরত থেকেছে।  

তুরস্ক ইতোমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্দি বিনিময় চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে। এছাড়া, ২০২২ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে ভূমিকা রাখে, যার মাধ্যমে কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে শস্য পরিবহনের ব্যবস্থা হয়। এই চুক্তি এক বছর কার্যকর ছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম