ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে ফিলিস্তিনিরাই: কাতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম

গাজা যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা ফিলিস্তিনিদের হাতেই থাকা উচিত, বাইরের কোনো পক্ষের নয়।
দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই বিষয়টি একটি ফিলিস্তিনি প্রশ্ন, যা যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিরাই নির্ধারণ করবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
মাজেদ আল-আনসারি আরও বলেন, এটি ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়, যুদ্ধের পর গাজায় কী হবে এবং ফিলিস্তিনিদের আনুষ্ঠানিকভাবে কে প্রতিনিধিত্ব করবে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কোন দল বা গোষ্ঠী সক্রিয় থাকবে, সেটিও তাদেরই ঠিক করা উচিত।
কাতারের এই বক্তব্য এমন সময়ে এল যখন ইসরাইল বারবার গাজা থেকে হামাসকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ প্রশাসন নিয়ে নানা প্রস্তাব দিচ্ছে।
কাতারের এই অবস্থান ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সঙ্গে স্পষ্ট বিরোধিতা প্রকাশ করছে। ইসরাইল গাজার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় এবং হামাসের শাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে গাজায় একটি বিকল্প প্রশাসনের কথা বলছে।
তবে কাতার মনে করছে, বাইরের কোনো শক্তি নয়, বরং গাজার জনগণেরই নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার থাকা উচিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতারের এই বক্তব্য ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বড় কূটনৈতিক বিতর্ক উসকে দিতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য শক্তিগুলো, বিশেষ করে মিশর, তুরস্ক ও ইরান, এই ইস্যুতে কী অবস্থান নেয়, তা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।