ডোনাল্ড লু’র স্থলে আসতে যাচ্ছেন পল কাপুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত পল কাপুরকে মনোনয়ন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও তার মনোনয়নে এখনো সিনেটের অনুমোদন বাকি আছে।
বুধবার মার্কিন সিনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে পদ থেকে সরে যেতে হয় ডোনাল্ড লু কে। তিনি জো বাইডেনের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি এবং আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।
পল কাপুর ভারত ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি মার্কিন নৌ বাহিনীর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে শিক্ষকতায় যুক্ত ছিলেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও কাজ করেছেন।
ট্রাম্পের প্রথম দফায় তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পলিসি প্ল্যানিং বিভাগে যুক্ত ছিলেন।
এসব বিষয়ে এতোমধ্যেই তিনি বেশকিছু বই লিখেছেন। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে– ‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’, ‘ডেঞ্জারাস ডিটারেন্ট: নিউক্লিয়ার উইপনস প্রলিফারেশন অ্যান্ড কনফ্লিক্ট ইন সাউথ এশিয়া।
সহ-লেখক হিসেবে লিখেছেন ‘ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য বোম্ব: ডিবেটিং নিউক্লিয়ার স্ট্যাবিলিটি ইন সাউথ এশিয়া’।
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে বেশ কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। তিনি কাশ প্যাটেলকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর ডিরেক্টর করেছেন। শ্রীরাম কৃষ্ণানকে করেছেন হোয়াইট হাউসের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে নীতি উপদেষ্টা।
আর সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন পেলেন তুলসী গ্যাবার্ড। বুধবার মার্কিন সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে চূড়ান্ত হয় এই ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক কংগ্রেস সদস্যের মনোনয়ন।
তুলসীর গোয়েন্দাপ্রধান হওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি বড় জয়, কারণ তুলসী তার মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বিতর্কিত সদস্যদের মধ্যে একজন ছিলেন।