নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে
মিউনিখে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি ঢুকে বহু হতাহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

জার্মানির মিউনিখে বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রস্তুতিকালে একটি দ্রুত গতির গাড়ি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বিল্ড পত্রিকা জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঘটা এ ঘটনার সময় শহরটি একটি বৈশ্বিক শীর্ষ পর্যায়ের নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে মিউনিখে এ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। আর এতে অংশ নিতে জেডি ভ্যান্স ও জেলেনস্কির মতো বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শহরটিতে পৌঁছানোর কথা ছিল।
তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় মিউনিখের কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনের কাছে বড় পরিসরের পুলিশ অভিযান চলছে।
মিউনিখ পুলিশ এক এক্স (পূর্বের টুইটার) বার্তায় জানিয়েছে, তারা গাড়ির চালককে আটক করেছে এবং তাকে আর কোনো হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।
এদিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিক এক্স প্লাটফর্মে লিখেছেন, ‘এক ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে আছেন এবং এক তরুণকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। লোকজন মাটিতে বসে কাঁদছে ও কাঁপছে’।
স্থানীয় সম্প্রচার সংস্থা বিআর জানিয়েছে, ঘটনাটি সম্ভবত স্থানীয় ভারদি ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের ওপর সংঘটিত হয়েছে।
তবে ভারদি ইউনিয়ন বলেছে, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ঘটনাটি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনস্থল থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার (১ মাইল) দূরে ঘটেছে। তবে গাড়ির চালক এটি ইচ্ছা করেই ঘটিয়েছে নাকি নিছক দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে আগামী সপ্তাহেই জার্মানির ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে এই সহিংস আক্রমণের পর দেশটিতে নিরাপত্তা ইস্যুটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।