ইসরাইলি জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর একমাত্র উপায় যুদ্ধবিরতি মেনে চলা: হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম

হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি। ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনে রাখতে হবে যে, জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উপায় হলো ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জিম্মি মুক্তি স্থগিত করেছে কারণ ইসরাইল গাজায় হামলা চালিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
হামাসের এই ঘোষণার পরই সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি সব ইসরাইলি জিম্মি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে মুক্তি না পায়, তবে আমি বলব যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত। সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাক, তবুও ইসরাইলের উচিত এটি অগ্রাহ্য করা। তবে এটি ইসরাইলের সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, এটি বাতিল করা উচিত এবং সব কিছু অস্বীকার করা উচিত।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের জেরে রয়টার্সকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি বলেন, ‘ট্রাম্পকে মনে রাখতে হবে যে একটি চুক্তি রয়েছে যা উভয় পক্ষকেই সম্মান করতে হবে এবং জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনার এটিই একমাত্র উপায়। ’
তিনি বলেন, ‘হুমকির কোনও মূল্য নেই, এটি কেবল বিষয়গুলোকে জটিল করে তোলে। ’
এদিকে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা নিয়ে ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই উপত্যকা পুনর্নির্মাণ করে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো হবে, যা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান ও আবাসন সৃষ্টি করবে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবটি ফিলিস্তিন, আরব রাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ব্যাপক নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে।