নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে কড়া বার্তা সৌদির
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
![নেতানিয়াহুর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান, ফিলিস্তিনি অধিকারের পক্ষে কড়া বার্তা সৌদির](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/10/India-67a975c7a15ea.jpg)
ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিজ ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করার বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর করা বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে সৌদি আরব। সম্প্রতি নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের উচিত তাদের নিজ ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন করা, কারণ দেশটিতে প্রচুর খালি জায়গা রয়েছে।
এর প্রতিবাদে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এ ধরনের মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছে, যা মূলত গাজার ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর চলমান অপরাধ ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা মাত্র।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৌদি আরব ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইসরাইলি নেতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশিত নিন্দা, অসন্তোষ এবং সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যানকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, এই চরমপন্থি, দখলদার মানসিকতা ফিলিস্তিনি ভূমির প্রকৃত তাৎপর্য এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক, আবেগপূর্ণ ও আইনি সংযোগকে বোঝে না। তারা মনে করে, ফিলিস্তিনিরা বেঁচে থাকার অধিকারই রাখে না। তাই গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে, যার অধিকাংশই শিশু ও নারী। এতে তাদের বিন্দুমাত্র মানবিক অনুভূতি বা নৈতিক দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজ ভূমির প্রকৃত অধিকারী, তারা অনুপ্রবেশকারী বা অভিবাসী নয়, যাদের দখলদার ইসরাইল ইচ্ছেমতো বিতাড়িত করতে পারে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, এই চরমপন্থি ধারণার প্রচারকারীরাই ইসরাইলকে শান্তি গ্রহণ থেকে বিরত রেখেছে। তারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছে, আরব দেশগুলোর গৃহীত শান্তি উদ্যোগগুলো উপেক্ষা করেছে এবং গত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ধারাবাহিকভাবে অবিচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সত্য, ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদে প্রতিষ্ঠিত মানুষের নিজ ভূমিতে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারের প্রতি সম্পূর্ণ অবহেলা প্রকাশ পেয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার চিরস্থায়ী, এবং কেউ তা কেড়ে নিতে পারবে না, যত দীর্ঘ সময়ই লাগুক না কেন।"
বিবৃতির শেষে সৌদি আরব বলেছে, টেকসই শান্তি একমাত্র সম্ভব যদি যুক্তির পথে ফিরে আসা হয় এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিকে মেনে নেওয়া হয়, যা কেবলমাত্র দুই-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।