টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে ইলন মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম

টাইম ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক প্রচ্ছদ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ারে ইলন মাস্ককে বসানো হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই)–এর প্রধান হিসেবে মাস্ককে যে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তার নীতি বাস্তবায়নের ফলে লাখ লাখ সরকারি কর্মী চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে সাংবাদিক সাইমন শুস্টার এবং ব্রায়ান বেনেট লিখেছেন, এখন পর্যন্ত মাস্ক শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জবাবদিহি করছেন। মাস্ককে সরকারি প্রশাসনের সংস্কারের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, টাইম–এর প্রচ্ছদে মাস্কের উপস্থিতি ট্রাম্পের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, কারণ তিনি বরাবরই এই ম্যাগাজিনের কভার পেজকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখেন। ২০২৪ সালে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প ইতোপূর্বে তার নিজের নামে একটি জাল টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ বানানোর জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মজা করে বলেন, টাইম ম্যাগাজিন কি এখনো ব্যবসায় টিকে আছে? আমি জানতাম না!
টাইম–এর কভার কোনো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বকে ট্রাম্পের ছায়ার বাইরে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তৎকালীন প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে ‘দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যাননের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে প্রশাসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, মাস্ক তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’–এ এই বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি ট্রাম্প মনে করেন যে মাস্ক প্রশাসনের ওপর তার প্রভাব ক্ষুণ্ন করছেন, তাহলে তার ভবিষ্যৎও ব্যাননের মতো হতে পারে।