Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

উঠানে মিলল ১০২টি বিষধর সাপ, কোথা থেকে এলো?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম

উঠানে মিলল ১০২টি বিষধর সাপ, কোথা থেকে এলো?

নিজ বাড়ির উঠানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০২টি বিষধর লালচে-কালো সাপ (Red-bellied Black Snakes) দেখে রীতিমত শিউরে উঠেছেন ওই বাড়ির মালিক। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসিন্দা ডেভিড স্টেইনের বাড়িতে ঘটে এমনই এক অদ্ভুতুড়ে ঘটনা।

গত সপ্তাহের এ ঘটনায় তিনি দেখেন যে, ছয়টি সাপ তার উঠানে রাখা পচা পাতার স্তূপের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সিডনির বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকারী সংস্থার (RRS) সদস্যদের ডেকে আনেন। 

এক পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্চ করে তিনি জানতে পারেন যে, গর্ভবতী (gravid) লালচে-কালো রঙের এই বিষধর সাপগুলো তাদের বাচ্চা প্রসবের আগে একসঙ্গে গাদাগাদি করে থাকে।

এদিকে ডিলান কুপার নামে সাপ উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য স্টেইনের ডাকে সাড়া দিয়ে ওইদিন বিকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। স্টেইন এ সময় তার পাতার স্তূপ সরাতে তাকে সাহায্য করেন। আর কুপার একটার পর একটা সাপ ধরে ব্যাগে ভরতে থাকেন।

এই দৃশ্য দেখে স্টেইন বলে ওঠেন, ‘একসঙ্গে এতোগুলো সাপ, বাপরে বাপ! দেখলেই গা শিউরে ওঠে!’

সেদিন সব মিলিয়ে ৫টি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৯৭টি নবজাতকসহ ১০২টি সাপ ধরা পড়ে।

আরআরএস সংস্থাটির প্রধান কোরি কেরেওয়ারো জানান, কুপার যখন আরও সাপ ধরছিলেন, তখনই ধরা পড়া দুটি প্রাপ্তবয়স্ক মা সাপ ব্যাগের ভেতরেই ২৯টি বাচ্চা প্রসব করে।

সিডনির বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ স্কট আইপার বলেন, এটি একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। তার মতে, হয়তো বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বা উপযুক্ত প্রসবস্থানের অভাবে গর্ভবতী সাপগুলো একসঙ্গে আশ্রয় নিয়েছে।

অস্বাভাবিক গরম আবহাওয়াও সাপগুলোর একসঙ্গে বাচ্চা প্রসব করার অন্যতম কারণ হতে পারে, যোগ করেন আইপার।

সাপগুলো কোথায় ছাড়া হবে?

এই সাপগুলোর প্রজাতি সংরক্ষিত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সরকার থেকে অনুমতি নিয়ে এগুলোকে একটি জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হবে।

আরআরএস প্রধান কোরি কেরেওয়ারো বলেন, ‘মানুষ চিন্তিত ছিল যে এতগুলো সাপ কোথায় যাবে! আমরা নিশ্চিত করছি, সাপগুলোকে জনবসতি থেকে অনেক দূরে গভীর বনে ছাড়া হবে’।

সাপগুলো কী আবার ফিরতে পারে?

ডেভিড স্টেইন জানান, তাকে সতর্ক করা হয়েছে যে, আগামী বছর একই জায়গায় আবারও সাপ আসতে পারে বাচ্চা প্রসবের জন্য।

তিনি বলেন, ‘এ কথা শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গেই এই ময়লার স্তূপ সরিয়ে ফেলেছি! সূত্র: এপি ও সিএনএন

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম