গোমায় ১৫০ বন্দিকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
গাড়িতে লাশ তুলছেন কঙ্গোর রেডক্রস ও সিভিল প্রোটেকশন গ্রুপের সদস্যরা- ছবি সিএনএন
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের গোমা কারাগারে ১৫০ জনের বেশি নারী বন্দিকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া পুরুষ বন্দিরা এই আগুন লাগিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র সাইফ ম্যাঙ্গাঙ্গো সিএনএনকে বলেন, পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া ১৬৫ জন নারীর মধ্যে বেশিরভাগই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
তিনি জানান, সেই আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া ৯ থেকে ১৩ জন নারী বন্দিও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কঙ্গোর বিচার বিভাগের একটি সূত্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ম্যাঙ্গাঙ্গো বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদন যাচাই করিনি। তবে এটি নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করছি’।
জেল ভেঙে পলায়ন ও নৃশংসতা
এদিকে জাতিসংঘের সহযোগী গণমাধ্যম রেডিও ওকাপি জানিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি যখন এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছিল, তখন ৪,০০০-এর বেশি বন্দি মুজেঞ্জে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।
এ সময় তাদের আটকাতে গিয়ে কিছু পুরুষ বন্দিকে কারারক্ষীরা হত্যা করলেও অধিকাংশ বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুরো কারাগারটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
কঙ্গোর যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরকার এই বর্বর অপরাধের তীব্র নিন্দা জানায়’।
মধ্য আফ্রিকার এই দেশটিতে যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই যৌন সহিংসতা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের আরেক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও ৫২ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। যার মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনাও রয়েছে।
অস্ত্রবিরতির ডাক
এদিকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বর্তমানে গোমা দখলের দাবি করা বিদ্রোহীগোষ্ঠী এম২৩। সেখানে গত এক সপ্তাহের সংঘর্ষে প্রায় ৩,০০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।