তুমুল বিতর্কে ব্যর্থ জার্মান অভিবাসন বিল
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
![তুমুল বিতর্কে ব্যর্থ জার্মান অভিবাসন বিল](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/02/Untitled-1-679f4ab5a41b6.jpg)
আশ্রয়ব্যবস্থা কঠোর করার একটি আইনকে প্রত্যাখ্যান করেছে জার্মান পার্লামেন্ট। কট্টর ডানপন্থি এএফডি-এর সমর্থন পাওয়ায় জার্মান রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছে এই প্রস্তাবিত বিলটি।
জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগে তীব্র বাদানুবাদ, রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ, বিশ্বাসঘাতকতা এবং কট্টরপন্থিদের সঙ্গে ‘আঁতাতের' অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ভাঙা জার্মান রাজনীতিতে কয়েক দিন তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার পার্লামেন্টে আশ্রয়নীতি আরো কঠোর করার একটি বিল খুব অল্প ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিলটির সমর্থনে রক্ষণশীল খ্রিস্টিয় গণতন্ত্রী এবং খ্রিস্টিয় সমাজতন্ত্রী (সিডিইউ/সিএসইউ) দল ছাড়াও অতি-কট্টরপন্থি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি), নব্য-উদারনৈতিক ফ্রি ডেমোক্র্যাটস (এফডিপি) এবং পপুলিস্ট সাহরা ভাগেনক্নেখট অ্যালায়েন্স (বিএসডব্লিউ) ভোট দিয়েছে।
প্রথমবারের মতো অতি-ডানপন্থি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির সমর্থনের উপর নির্ভর করে বুধবার সিডিইউ এর চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রিড্রিশ ম্যার্ৎস আশ্রয়নীতির উপর একটি প্রস্তাব পাস করতে সক্ষম হন। কে সমর্থন দিচ্ছে, সেটা চিন্তা না করেই অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ম্যার্ৎস।
বিতর্কিত এই প্রস্তাবটিতে সব প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে স্থায়ী সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করলেও সীমান্ত থেকেই অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এমন প্রস্তাব।
পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি এর সাম্প্রতিক ডয়চলান্ডট্রেন্ড জরিপ অনুসারে, জার্মান জনগণের একটি বড় অংশ অভিবাসন নীতি কঠোর করার পক্ষে। তবে, এএফডি এর সঙ্গে মিলে কোনো জোটগত চুক্তি করার বিপক্ষেও বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনমত রয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ মাত্র তিন সপ্তাহ পরই জার্মানির পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচন। নির্বাচন পূর্ববর্তী সবশেষ জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সিডিইউ।
দলটির নেতা ম্যার্ৎসের পরবর্তী চ্যান্সেলর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ২০ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কট্টরপন্থি এএফডি। ম্যার্ৎস অবশ্য পার্লামেন্টে অভিবাসননীতির প্রস্তাবে এএফডির সমর্থন পেলেও শুক্রবার আবার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি এএফডি এর সঙ্গে কাজ করতে চান না।