ভারতের সামরিক ব্যয় আরও বাড়লো, প্রতিরক্ষা বাজেট ৭৮ বিলিয়ন ডলার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম

২০২৫ সালের জন্য প্রতিরক্ষা বাজেট ৯.৫% বাড়িয়ে ৭৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের সর্বশেষ বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ দেশের মোট জিডিপির ৮% এ উন্নীত হয়েছে, যা বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পর চতুর্থ বৃহত্তম প্রতিরক্ষা ব্যয়কারী দেশ হিসেবে ভারতকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিরক্ষা খাতে মূলধনী ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৪.৬% বৃদ্ধি পেলেও, ভারতের সামরিক আধুনিকায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এটি আরও বেশি হওয়া প্রয়োজন, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন বাজেটে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার নতুন যুদ্ধবিমান ক্রয়ের জন্য এবং ২.৮ বিলিয়ন ডলার নৌবহর শক্তিশালী করার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
তবে ভারতে এখনও ৮ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করলেও, সামরিক খাতে বিশাল ব্যয়ের ফলে সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরক্ষা বাজেটের বড় অংশই অবসরভাতা ও বেতন প্রদানের জন্য ব্যয় হয়, যা বরাবরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টা অমিত কৌশিশ বলেছেন, অনেকদিন ধরেই এটি উদ্বেগের বিষয় যে প্রতিরক্ষা বাজেটের বিশাল অংশ পেনশন ও বেতন প্রদানে ব্যয় হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই সামরিক সম্প্রসারণ কৌশল আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে।