যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে যা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
কানাডা, মেক্সিকো ও চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন, যা কার্যকর হবে আজ (শনিবার) থেকে। বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নতুন বাণিজ্য যুদ্ধের কথা জানিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ট্রুডো বলেছেন, ‘কানাডা যুক্তিসঙ্গত প্রতিশোধ নেবে। ’ তবে কীভাবে প্রতিশোধ
নেওয়া হবে সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তিনি। পাশাপাশি সামনের দিকে কানাডার অর্থনীতি কিছুটা
খারাপের দিকে যাবে বলেও জানান কানাডার এ প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অপরিশোধতি তেল আসে কানাডা থেকে। ওয়াশিংটনের
মোট তেল আমদানির প্রায় ৫৫ শতাংশ সরবরাহ করে অটোয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে শুক্রবার উপদেষ্টা
পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রুডো। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সম্পর্ক নিয়ে সেই বৈঠকে
আলোচনা হয়।
আলোচনার সময় ট্রুডো বলেন, ‘আমি বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখাতে পারি না। সামনের
দিনগুলোতে আমাদের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করবে। আমি জানি, কানাডিয়ানরা চিন্তিত। তবে
আমি তাদের জানাতে চাই, ফেডারেল সরকার তাদের সমর্থনে রয়েছে।’
নির্বাচিত হওয়ার আগ থেকে ট্রাম্প শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন,
যা মূলত সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক প্রবাহের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে তিনি তুলে
ধরেছিলেন।
তিন কারণে শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এ
কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন,
প্রথম কারণটি হলো, ওইসব দেশের মানুষেরা প্রচুর পরিমাণে আমাদের ভূখণ্ডে ঢুকে
পড়েছে। দ্বিতীয় কারণ, মাদক, ফেন্টানিলের মতো এমন সব অবৈধ ওষুধ যা আমাদের দেশে প্রবেশ
করছে। তৃতীয় কারণ, ভর্তুকি যা আমরা কানাডা ও মেক্সিকো দিয়ে আসছি।’
ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের জেরে ওয়াশিংটনের
সঙ্গে প্রতিবেশীদের নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের শুরু সম্ভাবনাকে প্রবল করেছে, যা আগে
ছিল একচেটিয়া চীনের সঙ্গে। ট্রাম্প প্রশাসনের
সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় অটোয়া ও মেক্সিকো প্রশাসন নতুন রাস্তা অবলম্ভন করবে।
কানাডার রপ্তানির ৭৫ শতাংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে। অটোয়ার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক
অংশীদার ও কাছের মিত্র ওয়াশিংটন। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তে সেই সম্পর্কে
ভাটা পড়তে পারে। ট্রুডো বলেন, ‘আমরা যেমনটা চাই তেমনটা হচ্ছে না। এ বাণিজ্য বিরোধ ও
কূটনৈতিক জটিলতা আমাদের চাওয়া নয়। তবে ট্রাম্প যদি তার কথায় অটল থাকেন তাহলে আমরাও
ব্যবস্থা নেব।’