ইসরাইলি কারাগারে বন্দি, ২১ বছর পর প্রথম বাবাকে দেখলেন ফিলিস্তিনি মেয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছেন হুসেন নাসার নামে এক ফিলিস্তিনি। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা বিদ্রোহে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি গ্রেফতার হন। ইসরাইলি কারাগার থেকে দীর্ঘ ২২ বছর পর মুক্তি পেয়ে প্রথমবারের মতো দুই মেয়েকে আলিঙ্গন করেন ৪৭ বছর বয়সি এই বাবা।
বাবাকে প্রথমবার দেখার জন্য রামাল্লাহতে উপস্থিত ছিলেন হুসেন নাসারের দুই মেয়ে। ২২ বছর বয়সি হেদায় এবং ২১ বছর বয়সি রাগাদ। দুজনেই তাদের নিজ শহর নাবলুসের আকর্ষণীয় ঐতিহ্যবাহী লাল এবং কালো পোশাক পরেছিলেন।
হুসেনের মুক্তির আগে ২১ বছর বয়সি রাগাদ বিবিসির এই প্রতিবেদককে বলেন, বাবা ছাড়া এত দিন বেঁচে থাকার অনুভূতি বর্ণনা করা অসম্ভব।
রাগাদ বলেন, ‘এই প্রথমবার আমি তাকে স্পর্শ করব। আমি তাকে জড়িয়ে ধরব। আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছি না। ’
বাবার সঙ্গে দেখা করার উত্তেজনায় প্রায় কাঁপতে কাঁপতে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মায়ের গর্ভে ছিলাম তখন ইসরাইলিরা বাবাকে গ্রেফতার করেছিল। আমার মনে হচ্ছে এই প্রথম আমি বুঝতে পারব বাবা থাকা কেমন!’
বন্দিবিনিময় চুক্তির তৃতীয় ধাপে মুক্তি পাওয়া ১১০ ফিলিস্তিনি বন্দির মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু ছিল। যাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ বন্দির বয়স ১৫ বছর।
রামাল্লাহ এবং এল বিরেহের গভর্নর ড. লেইলা আবু ঘানামের মতে এত বন্দির এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল উদযাপনের একটি উপলক্ষ।