সিরিয়ায় সংবিধান বাতিল, সেনাবাহিনী ও আসাদের দল বিলুপ্ত ঘোষণা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের রাজনৈতিক দল বাথ পার্টিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে দেশটির বর্তমান প্রশাসন। একইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে সিরিয়ার সংবিধান। এছাড়া বিলুপ্ত করা হয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীসহ ছোট-বড় সব সশস্ত্রগোষ্ঠী।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই মাস পর সাবেক বিরোধীদলীয় কমান্ডার এবং সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারাকে দেশটির ক্রান্তিকালীন সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
দামেস্ক থেকে আলজাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ বলেন, এটি একটি স্মৃতিময় দিন। এটি এই দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ আরও স্পষ্ট করে দিল কারণ, নতুন এই প্রশাসন কেমন হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল।
বুধবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা কমান্ডার হাসান আবদেল গনির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া আল-শারাকে ক্রান্তিকালীন পর্যায়ের জন্য একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত সেই কাজটি সম্পাদন করবে তারা।
সিরিয়ার সংবিধান এবং আল-আসাদের বাথ পার্টির মতো সিরিয়ার সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীসহ দেশটির সমস্ত সামরিক গোষ্ঠী ও সেইসঙ্গে আল-শারার নিজস্ব হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-ও বিলুপ্ত করা হয়েছে। বাশার আল-আসাদের উৎখাতের আগে ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছিল বাথ পার্টি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দামেস্কে একটি বৈঠকের সময় এই ঘোষণাগুলো দেওয়া হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে আল-শারার এইচটিএস-এর সঙ্গে লড়াই করা সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডাররা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আল জাজিরার সংবাদদাতা ওসামা বিন জাভেদ বলেন, (আল-শারা) তাদেরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে- তারা শুধু প্রতিনিধিত্বই করবেন না বরং একটি নতুন সিরিয়ার অংশও হবেন তারা।
অবশ্য সিরিয়ায় কবে নাগাদ নির্বাচন কবে হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। কারণ সিরিয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো সময়সূচি উল্লেখ করা হয়নি। আল-শারা এর আগে বলেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে নির্বাচন আয়োজন করতে চার বছরের মতো সময় লাগতে পারে।