সিরিয়ায় প্রথম আরব নেতা হিসেবে কাতারের আমিরের ঐতিহাসিক সফর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি বৃহস্পতিবার দামেস্কে পৌঁছেছেন, যা বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় কোনো আরব নেতার প্রথম সফর। দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা তাকে স্বাগত জানান। সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বাশির, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরাও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের সময় কাতার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ গত ডিসেম্বরের শুরুতে মস্কোতে পালিয়ে যান। শেখ তামিমের এই সফর কাতার-সিরিয়া সম্পর্কের পুনঃস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, এবং কাতার সিরিয়ার পুনর্গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক খালেদ ওয়ালিদ মাহমুদ কাতার নিউজ এজেন্সিকে (কিউএনএ) বলেন, শেখ তামিমের এই সফর অত্যন্ত প্রতীকী এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সাবেক শাসন ব্যবস্থার পতনের পর কোনো আরব নেতার প্রথম সফর।
তিনি আরও বলেন, এই সফর কূটনৈতিক চ্যানেলগুলো পুনরায় চালু করতে এবং দামেস্কে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানকে সমর্থন করতে পারে, যা সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে কাতারের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা জোরদার করবে।
কাতার সিরিয়ার পুনর্গঠনে, বিশেষ করে জ্বালানি, পরিবহণ এবং আবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এসব অবকাঠামো গৃহযুদ্ধে ধ্বংস হয়েছে। আরব সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি স্টাডিজের গবেষক আহমেদ কাসিম হুসেইন কিউএনএকে বলেন, আমিরের এই সফর সিরিয়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কাতারের ক্রমবর্ধমান ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়।
কাতার সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়ে দামেস্কে তাদের দূতাবাস পুনরায় খুলেছে, যা ২০১১ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
হুসেইন বলেন, এই সফর কাতারের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং সিরিয়ার সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। তিনি আরও জানান, দোহা সিরিয়ার নেতৃত্বকে দেশটির রূপান্তরকালীন পর্যায়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে।