Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ভারতে মহাকুম্ভ মেলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

ভারতে মহাকুম্ভ মেলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে

ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বুধবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪০-এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার ভারতীয় পুলিশের তিনটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রগুলো জানায়, মর্গে এ পর্যন্ত ৪০টি লাশ এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

পদদলিত হওয়ার ১২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও হতাহতের এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ‘পবিত্র’ নদীতে গোসল করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের একটি সূত্র বলেন, ‘আরও লাশ আসছে মর্গে। লাশগুলোকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।’

জ্যৈষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ভৈবভ কৃষ্ণা বলেন, ‘কতজন মারা গেছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলে যাচ্ছে না।  মানুষের ভিড় ব্যবস্থাপনায় আমরা কাজ করছি।’

ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, লাখ লাখ পুণ্যার্থী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই মহা কুম্ভমেলার সবচেয়ে শুভ দিনটি উপলক্ষে স্নানের জন্য আসছে।

পদদলনের পরের ভিডিওতে দেখা যায়, নিহতদের স্ট্রেচারে তুলে নেওয়া হচ্ছে, অনেকে মাটিতে বসে কাঁদছেন, আর অন্যরা তীব্র ভিড় থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ফেলে যাওয়া জিনিসপত্রের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।

রয়টার্সকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি অনেকগুলো লাশ দেখতে পেয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স নদীর তীরে দ্রুত ছুটে যাচ্ছিল।

ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, আমি দেখেছি অনেক শিশু ও নারী হারিয়ে যাচ্ছিল এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল।

কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে একটি বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাৎক্ষণিক সহায়তা ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসমাবেশ এই হিন্দু উৎসবে গত দুই সপ্তাহে ইতোমধ্যে প্রায় ১৪৮ মিলিয়ন মানুষ অংশ নিয়েছেন। কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, এবার প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ এই পবিত্র স্নান করতে আসবেন। যেহেতু এটি একটি বিরল আকাশগঙ্গা অ্যালাইনমেন্টের কারণে সবচেয়ে শুভ দিন, যা ১৪৪ বছর ধরে চলে আসছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মোহনায় স্নান করলে তারা পাপমুক্ত হয়ে মরণজন্মের চক্র থেকে মুক্তি পাবেন।

এদিকে সাধু রবিশঙ্কর পুরী বলেছেন, আমাদের সব সন্ন্যাসী ও সাধু স্নানের জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু যখন আমরা এ ঘটনা অবহিত হলাম, তখন আমরা আমাদের স্নান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

কর্তৃপক্ষ এ ধরনের বিশাল জনসমাবেশের জন্য অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল বাড়ানো নিরাপত্তা, চিকিৎসাকর্মী এবং বিশেষ ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা। এছাড়া জনসমাগম পরিচালনার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম