গাজাবাসীর স্বাধীনতা চান জার্মান চ্যান্সেলর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ মঙ্গলবার গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি টেকসই ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরির জন্য শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সব পক্ষকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন, সব জিম্মিকে মুক্তি এবং ছিটমহলে আরও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
তিনি বলেন, এখন গাজা উপত্যকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করার উপযুক্ত সময়। ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্যও এটি জরুরি। সেইসঙ্গে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার জন্যও অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, গাজার বাসিন্দাদের স্বাধীন ও সম্মানজনক জীবনের একটি রূপরেখা দরকার। জার্মানি এবং ইইউ এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
শলৎজ বলেন, বার্লিন এবং তার আন্তর্জাতিক অংশীদাররা গাজার দায়িত্ব গ্রহণকারী একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে সমর্থন করবে।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধ হয়েছে। দীর্ঘদিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজার প্রায় ৪৭,৩০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদিকে আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জরি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও রয়েছে।