Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হামাস যোদ্ধাদের হাতে ইসরাইলের অত্যাধুনিক রাইফেল

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম

হামাস যোদ্ধাদের হাতে ইসরাইলের অত্যাধুনিক রাইফেল

দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে বন্দি চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাস। শনিবার ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টার একটু পরে রেডক্রসের হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। 

গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর এলিট যোদ্ধাদের হাতে অত্যাধুনিক ইসরাইলি তাভর রাইফেল দেখা যায়।

রোববার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ক্ষমতার এক নাটকীয় প্রদর্শনীতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের অভিজাত যোদ্ধারা গাজা শহরে চারজন নারী ইসরাইলি সৈন্যকে হস্তান্তরের সময় ইসরাইলি তাভর রাইফেল নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।

ইসরাইলি সংবাদওয়েব ওয়ালার সামরিক সংবাদদাতা আমির বোহবোট একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের নারী সৈন্যদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সময় সেখানে অবস্থানের জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অভিজাত ইউনিটের তাভর রাইফেল বহনকারী অভিজাত ইউনিটের যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্ত করে হামাস। এই রাইফেলগুলো সম্ভবত ২০২৩ সালের অক্টোবরে জব্দ করা হয়েছিল।

ইসরাইলি চ্যানেল ১২ বলেছে, ইসরাইলি সৈন্যদের মুক্তির দেওয়ার জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি গাজা শহরের প্যালেস্টাইন স্কোয়ারে খুব সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত এবং কার্যকর করেছে হামাস। হামাস এই নাটকীয় মুহূর্তটিকে প্রচারের বার্তা দেওয়ার জন্য কাজে লাগিয়েছে।

জিম্মি মুক্তির আগে হামাস ও মিত্র সংগঠন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজি) সদস্যরা গাজা শহরের চত্বরে ব্যাপক শোডাউন করে যেখানে এই চার ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। 

আল জাজিরার সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ওই এলাকায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদেরও ব্যাপক সমাগম হয়েছে। হামাসের এসব যোদ্ধাদের খোঁজে টানা ১৫ মাসব্যাপী নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে হামাসের যোদ্ধারা। গোষ্ঠীটির সদস্যদের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে মোটেও মনোবল হারায়নি তারা। 

ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতো শীর্ষনেতা এবং হাজারো সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরও গৌরবের সঙ্গে তারা বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম