চার ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির আগে গাজায় হামাসের ব্যাপক শোডাউন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অধীনে দ্বিতীয় দফায় চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। ৪৭৭ দিন ধরে জিম্মি থাকা এই নারীরা হলেন— লিরি আলবাগ (১৯), দানিয়েলা গিলবোয়া (২০), কারিনা আরিয়েভ (২০) এবং নামা লেভি (২০)।
জিম্মি মুক্তির আগে হামাস ও মিত্র সংগঠন ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজি) সদস্যরা গাজা শহরের চত্বরে ব্যাপক শোডাউন করেছে, যেখানে চারজন ইসরাইলি বন্দির মুক্তির প্রস্তুতি চলছে।
আল-জাজিরা সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ওই এলাকায় সাধারণ ফিলিস্তিনিদেরও ব্যাপক সমাগম হয়েছে।
হামাসের এসব যোদ্ধাদের খোঁজে টানা ১৫ মাসব্যাপী নৃশংস সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে হামাসের যোদ্ধারা। গোষ্ঠীটির সদস্যদের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে মোটেও মনোবল হারায়নি তারা। ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মতো শীর্ষনেতা এবং হাজারো সহযোদ্ধার মৃত্যুর পরও গৌরবের সঙ্গে তারা বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছে।
গত সপ্তাহেও হামাস একইভাবে শক্তি প্রদর্শন করেছিল, যখন তারা তিনজন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এবারও মুক্তির প্রক্রিয়ার স্থানটিতে হামাস সদস্যদের একটি বড় ব্যানারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যেখানে হিব্রু ভাষায় লেখা— ‘জায়নবাদ জিততে পারবে না।’
ব্যানারটিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রতীকও রয়েছে।
এছাড়া আরেকটি ব্যানারে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি কর্মকর্তা ও সেনা কর্মকর্তার ছবি রয়েছে, যার প্রতিটির ওপরে লেখা হয়েছে ‘ব্যর্থতা’।
হামাস জানিয়েছে, তারা গাজায় আটক থাকা চারজন ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেবে, তবে এর বিনিময়ে ইসরাইলকে ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দিতে হবে।
এদিকে, ইসরাইলের নিরলস বিমান হামলা ও বাধ্যতামূলক উচ্ছেদের ফলে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া লাখো ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার আশায় নিজেদের এলাকায় ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। দীর্ঘ যুদ্ধের পর সাময়িক শান্তি পেলেও অনেকেই এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।