নথি ফাঁস, বিদেশে সহায়তা স্থগিত করলেও ইসরাইলকে অর্থ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিদেশে সব ধরনের সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে নতুন সাহায্য অনুমোদন বন্ধ রেখেছে দেশটি। তবে ইসরাইল ও মিশরের সামরিক সহায়তা বন্ধ করবে না আমেরিকা। ফাঁস হওয়া অভ্যন্তরীণ নথিতে এই তথ্য জানা। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এই নির্দেশনা
পাঠানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এক নির্বাহী
আদেশে বিদেশি সহযোগিতা বন্ধ করেন। তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরাইল
ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ফাঁস হওয়া নথির বিষয়বস্তু নিশ্চিত হয়েছে বিসিবি।
নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি
সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে সব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে,
সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা খতিয়েও
দেখা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের
জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
নোটিশে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ার কথা বলা
হয়েছে।
নথি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 'পর্যালোচনা শেষ
না হওয়া পর্যন্ত কোনো নতুন তহবিল অনুমোদিত হবে না বা বিদ্যমান কোনো চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি
করা যাবে না।’ একইসঙ্গে চলমান প্রকল্পের কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যালোচনা
শেষ হয়।
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থায়ন
স্থগিতের প্রভাব ইউক্রেনেও পড়তে পারে। যেখানে আগে থেকে প্রচুর অস্ত্র সহযোগিতা দেওয়া
হয়েছিল। সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময়ে ইউক্রেন অস্ত্র সহায়তায়
বড় অংকের সহযোগিতা পেয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও স্বাক্ষরিত নথিতে সহায়তা স্থগিতের
পক্ষে যুক্তি বলা হয়েছে, ‘বর্তমান
বিদেশি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি কার্যকর কিনা, পুনরাবৃত্তিমূলক কিনা এবং প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা মূল্যায়ন করা অসম্ভব।’ ট্রাম্প
প্রশাসন পররাষ্ট্রনীতি নিশ্চিত করতে সব বিদেশি সাহায্যের বিস্তারিত পর্যালোচনা আগামী
৮৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই পর্যালোচনা ৮৫ দিনের
মধ্যে শেষ হবে। তিনি বলেন, ‘বিদেশে
আমাদের ব্যয় শুধু তখনই হওয়া উচিত, যদি তা আমেরিকাকে নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে।’