দক্ষিণ কোরিয়ার চার শীর্ষ সেনা কমান্ডার বরখাস্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০২ পিএম

দক্ষিণ কোরীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার দেশটির চারজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করেছে। তাদেরকে সামরিক আইন জারিতে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এই সামরিক আইন জারি করেছিলেন। যদিও সংসদের প্রবল চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তারা হলেন- ডিফেন্স কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ো ইন-হিউং, ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল মুন সাং-হো, ক্যাপিটাল ডিফেন্স কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল লি জিন-উ এবং আর্মি স্পেশাল ওয়ারফেয়ার কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কওয়াক জং-কুন।
এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত ৩ ডিসেম্বরের সামরিক আইন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়ছে, তাদের বরখাস্তের বিষয়টি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ বাহিনী দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সামরিক আইন ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত নথি জব্দ করেছে।
একই সঙ্গে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য অভিযুক্ত ও অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সিউলের কাছে উইওয়াংয়র সিউল ডিটেনশন সেন্টারের ১২ বর্গমিটার আয়তনের একটি একক সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ ধরনের সেল সাধারণত ৫-৬ জনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এর মধ্য দিয়ে একটি ইতিহাস রচিত হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে, ইউন সুক ইওলই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট, যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে তাকে দীর্ঘ সময়র জন্য আটক রাখা হবে বলে।
এদিকে বরখাস্ত হওয়া চার সামরিক কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল পার্ক আন-সুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার মধ্যদিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: আনাদোলু