যুদ্ধবিরতির আনন্দে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের আবেগ-উল্লাস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
শনিবার যুদ্ধবিরতির আনন্দে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের মিলনমেলা। ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনন্দ ছুঁয়ে গেছে গাজায় কর্মরত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের মাঝেও। বহুদিন ধরে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে কাজ করার পর, এখন তারা নিরাপদে ঘরে ফেরার এবং নিজেদের কাজ পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগের ঘণ্টাগুলোতে গাজার সাংবাদিকরা নাসের হাসপাতালের সামনে একত্রিত হন। এই সময় তারা নিহত সহকর্মীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায় এবং সর্বশেষ পরিস্থিতির ওপর তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি নেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ২০০ এরও বেশি সাংবাদিককে হত্যা করেছে, এর পাশাপাশি অনেক সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের গাজায় প্রবেশে বাধা দিয়ে এসেছে। এসময় গাজার সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে সামরিক হামলা, আক্রমণ এবং সংবাদ সংগ্রহে ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। অনেকেই সহকর্মী হারিয়েছেন এবং নিজেরাও বিভিন্ন সময় হামলার শিকার হয়েছেন।
তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর, কিছুটা শান্ত পরিবেশের প্রত্যাশায় তারা অপেক্ষা করছেন, যাতে তারা আরও ভালোভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
গাজার সাংবাদিকরা জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে তারা নিরাপদে সংবাদ সংগ্রহে ফিরে যাবেন, এবং জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। যুদ্ধবিরতির ফলে সংবাদমাধ্যমের জন্য এই একটি নতুন সুযোগ, যেখানে তারা গাজার বাস্তবতা আরও সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকরা গাজার সাংবাদিকদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন এবং যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে তারা নতুন করে কাজ শুরু করার আশায় রয়েছেন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এর দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬৬ জন সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৮ জন ফিলিস্তিনি, ২ জন ইসরাইলি এবং ৬ জন লেবাননের নাগরিক অন্তর্ভুক্ত। সিপিজে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি দাবি করেছে এবং এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করার আহ্বান জানিয়েছে।