Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

‘শেষ জিম্মি ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত’ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ এএম

‘শেষ জিম্মি ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত’ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

শনিবার রাতে তেল আবিবে জিম্মিদের পরিবারসহ হাজার হাজার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেন। ছবি সংগৃহীত।

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার পরও স্বস্তিতেই নেই ইসরাইলি প্রশাসন। হামাসের কাছে আটক শেষ জিম্মি ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত প্রতিবাদ অব্যহাত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বহু বিক্ষোভকারী।

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতি সপ্তাহে এই ধরনের প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের ছবি ধারণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ক্রমাগত আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অতি ডানপন্থি রাজনীতিবীদদের অনেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় না। মন্ত্রিসভা ভাঙনের ভয়ে নেতানিয়াহু মাসের পর মাস যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করেছেন। কিন্তু এবার আর এড়াতে পারলেন না।

আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ মিনিটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা। আর চুক্তির প্রায় ১২ ঘণ্টা আগে শনিবার রাতে জিম্মিদের পরিবারসহ হাজার হাজার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেন। তেল আবিবে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ‘শেষ জিম্মি ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত’ লেখা ব্যানার তুলে ধরেন।

বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, ধাপে ধাপে জিম্মি মুক্তির পরিবর্তে একটি সমন্বিত চুক্তির দাবি জানান, যা একবারে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের আশঙ্কা, ধাপভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে ৯৮ জন জিম্মির কেউ কেউ পিছিয়ে পড়তে পারে।

অন্যদিকে, শত শত মানুষ এই চুক্তির বিরোধিতা করে তেল আবিবে জড়ো হন। তাদের দাবি হামাসের সঙ্গে এই চুক্তি ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং এটি ১৫ মাসের যুদ্ধের পর আত্মসমর্পণের সমান।

প্রসঙ্গত, আলোচিত হামাস-ইসরাইলের চুক্তির প্রথম ৪২ দিনের পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।  সেটা জীবিত কিংবা মৃত যাই হোক।  এই ধাপে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের প্রায় সবাই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক হামলার সময় অপহৃত হন। তবে এই তালিকায় থাকা দুই ব্যক্তি, অ্যাভেরা মেঙ্গিস্তু ও হিশাম আল-সাইয়েদ, যথাক্রমে ২০১৪ এবং ২০১৫ সাল থেকে গাজায় বন্দি রয়েছেন।

আর এর বিনিময়ে ইসরাইল ১,৯০৪ জন ফিলিস্তিনি আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে।

এর আগে বলেছে ইসরাইলের বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, আজ ফিলিস্তিনের ৭৩৭ কারাবন্দি ও আটক ব্যক্তিকে ছাড়া হবে, তবে তা বিকেল চারটার আগে নয়।   

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে এমন এক দিনে,  যেটি বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে, কারণ এর পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার শাসনক্ষমতা শুরু হবে।

ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ


আরও পড়ুন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম