রুশ সীমান্তে ব্রিটিশ সামরিক কাঠামোর সম্প্রসারণ, যা বলল ক্রেমলিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘শতবর্ষী অংশীদারিত্ব’ চুক্তির অধীনে রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি ব্রিটিশ সামরিক অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে।যা নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন।
শুক্রবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ব্রিটেন একটি ন্যাটো দেশ এবং এর সামরিক অবকাঠামো আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি চলে আসাটা অবশ্যই উদ্বেগজনক।
তিনি জানান, রাশিয়া এই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর আঞ্চলিক প্রভাব বিশ্লেষণ করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কিয়েভ সফরের সময় অংশীদারিত্ব চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এটি যুক্তরাজ্য এবং ইউক্রেনের মধ্যে ব্যাপক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিশ্চিত করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে নৌবাহিনীর সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি ব্রিটেনকে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার দেবে।
এ নিয়ে পেসকভ জোর দিয়ে বলেন, ‘এটি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সমুদ্র; এখানে ইউক্রেন এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে কোনো সহযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না’।
সামরিক চুক্তির প্রসঙ্গে রাশিয়ার অবস্থান
রাশিয়া এই চুক্তিকে ন্যাটোর প্রভাব বৃদ্ধির আরেকটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। মস্কো ইঙ্গিত দিয়েছে, এই ধরনের কার্যকলাপ ইউরোপের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মন্তব্য
এছাড়াও পেসকভ যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থমন্ত্রী পদপ্রার্থী স্কট বেসেন্টের মন্তব্য নিয়েও কথা বলেন। বেসেন্ট রাশিয়ার তেল খাতের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোকে আলোচনায় বসানো যায়।
এ বিষয়ে পেসকভ বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নীতিতে মৌলিক কোনো পরিবর্তন হবে না’।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘একজন মন্ত্রীর তার প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন না থাকাটা অস্বাভাবিক। সমর্থন না থাকলে তিনি পদত্যাগ করবেন’। সূত্র: আনাদোলু