গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার হলে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি ইসরাইলি মন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৮ এএম
ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী ও উগ্র ডানপন্থি নেতা বেজালেল স্মোট্রিচ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যুদ্ধবিরতির পর যদি ইসরাইল গাজায় সেনা না পাঠায়, তবে তিনি সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। স্মোট্রিচের এই মন্তব্য ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, যদি আমাদের সেনারা গাজায় না যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নেয়, তবে আমি এই সরকারের অংশ হতে পারব না।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জেরুসালেম পোস্ট।
স্মোট্রিচ বুধবার রাতে বলেছেন, যে চুক্তি সরকারে উপস্থাপন করা হবে তা ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য খারাপ এবং বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি জিম্মি ব্যক্তির ফিরে আসার প্রতি যে অপরিসীম আনন্দ এবং উত্তেজনা রয়েছে, সেই সাথে এই চুক্তি যুদ্ধের অনেক অর্জনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যেখানে এই জাতির বীরেরা তাদের জীবন ঝুঁকিতে রেখেছিল। এটা, সৃষ্টিকর্তা না করুন, আমাদের রক্তের বিনিময়ে অত্যন্ত ব্যয়বহুল হতে পারে। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি’।
‘আমরা নীরব বসে থাকব না। আমাদের ভাইদের রক্তের চিৎকার আমাদের ডাকছে। আমরা নিশ্চিত হতে চাই, যুদ্ধ পুনরায় সম্পূর্ণ শক্তির সঙ্গে, ব্যাপকভাবে এবং নতুন কৌশল নিয়ে পুনরায় শুরু হবে। যতক্ষণ না আমরা একটানা বিজয় অর্জন করি, যার মধ্যে হামাসের পূর্ণ ধ্বংস এবং সকল জিম্মি ব্যক্তির নিরাপদ প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত থাকে’।
স্মোট্রিচের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তিনি যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ইসরাইলের সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার পক্ষে। তার মতে, গাজায় সেনাবাহিনীর অবস্থান না থাকলে, ইসরাইলের নিরাপত্তা এবং কৌশলগত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।
বেজালেল স্মোট্রিচ, দীর্ঘদিন ধরেই গাজা নিয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তার বক্তব্য নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারকে নতুন চাপে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন করছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর, ইসরাইলি সরকার এবং সামরিক বাহিনীর জন্য বড় প্রশ্ন হলো গাজায় পুনঃপ্রবেশ এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব। স্মোট্রিচ এবং তার মতো নেতারা মনে করেন, গাজায় সামরিক উপস্থিতি ছাড়া ইসরাইলের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। অন্যদিকে, শান্তি আলোচনার সমর্থকরা বলছেন, কূটনৈতিক সমাধানই একমাত্র পথ।
ইসরাইলের রাজনীতিতে এই প্রশ্নে বিভাজন আরও তীব্র হচ্ছে এবং এর পরিণতি ইসরাইল-গাজা সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।