গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি: প্রথম দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ৩৩ জিম্মি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০১ এএম
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রথম পর্যায়ে দুই মার্কিন-ইসরাইলি নাগরিক কিথ সিগেল ও সাগুই ডেকেল-চেন মুক্তি পাচ্ছেন। এক শীর্ষ মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ চুক্তির মাধ্যমে মোট ৩৩ জন জিম্মি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
কিথ সিগেল ও সাগুই ডেকেল-চেনের মুক্তি
কিথ সিগেলকে বয়স্ক বন্দিদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সাগুই ডেকেল-চেনকে আহত বন্দিদের মধ্যে রাখা হয়েছে। ডেকেল-চেন ৭ অক্টোবর হামলায় গুলিবিদ্ধ হন। এই চুক্তির আওতায় তাদের প্রথম দফায় মুক্তি দেওয়া হবে।
ইডান আলেকজান্ডারের অবস্থা
আরেক মার্কিন বন্দি ইডান আলেকজান্ডার, যিনি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সদস্য, তাকে দ্বিতীয় পর্যায়ে মুক্তি দেওয়া হবে। এই পর্যায়টি ৪২ দিনব্যাপী চলবে। যুক্তরাষ্ট্র তার মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
তৃতীয় পর্যায়ে মরদেহ হস্তান্তর
শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানান, তৃতীয় পর্যায়ে গাজায় আটক চার মার্কিনির মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এই পদক্ষেপ মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নারীদের মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি
প্রথম দফায় পাঁচজন নারী আইডিএফ সেনার মুক্তির বিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হলেও, ইসরাইলি কর্মকর্তারা পরে এই তথ্য অস্বীকার করেছেন। তাদের মতে, এই সেনাদের মুক্তির বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সমঝোতার প্রেক্ষাপট
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তি দীর্ঘ আলোচনার পর সম্পাদিত হয়। চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে বন্দি মুক্তি এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই এই বন্দি বিনিময় শুরু হবে।
এই চুক্তি ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় গাজায় সংঘাত বন্ধের পাশাপাশি উপত্যকাটিতে হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তির পথও খুলবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২১০ জন নিহত হন। ইসরাইল থেকে জিম্মি করা হয় ২৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় বন্দি রয়েছেন। হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৬ হাজার ৭০৭ জন। এছাড়া ইসরাইলি আক্রমণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ।