‘মমতাকে কোমরে দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া উচিত’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

‘আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি গত ৭ জানুয়ারির আগে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের রিঙ্গার ল্যাকটেট ব্যবহার বন্ধ করতে জারি করা কোনো একটা নির্দেশিকা আমাকে দেখান। মেদিনীপুর মেডিকেলে সংক্রমিত স্যালাইনের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের বলির পাঁঠা করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ’
সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমন দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বরং এ ঘটনার জন্য স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তিনি। তিনি মমতাকে কোমরে দড়ি দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে সিআইডি যেন তাদের গ্রেফতার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম গোটা ঘটনার দায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টায় রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। যে ভাবে তারা গাফিলতি শব্দটি বারবার বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদেরও বলির পাঁঠা করার মতলবে রয়েছেন তারা। উৎপাদন নিষিদ্ধ করার পরও ১ মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি রিঙ্গার ল্যাকটেটের ব্যাবহার চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগকে যতই আড়াল করার চেষ্টা করুন নথি কিন্তু বলছে অন্য কথা।’
এর পরই মুখ্যসচিবকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি ৭ জানুয়ারি ২০২৫এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের রিঙ্গার ল্যাকটেট ব্যবহার বন্ধ করতে জারি করা কোনও একটা নির্দেশিকা আমাকে দেখান। কর্ণাটকে রোগীমৃত্যুর পর গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাজ্যের সরকার যখন সতর্ক করেছিল তার পর থেকে এতদিন আপনারা কী করছিলেন? এটা স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়। তাদের গাফিলতি। সিআইডির উচিত অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া। প্রতিবার বলির পাঁঠা খোঁজা বন্ধ করুন।