গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। এই অবস্থায় নতুন পৃষ্ঠপোষক খুঁজছে তারা। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামনে এখন দুটি বিকল্প পথ খোলা আছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

তুর্কি নেতা শুক্রবার পশ্চিম আইদিন প্রদেশে তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির এক সভায় বলেন, ‘দামেস্ক সিরিয়ার বিরোধীদের মুক্তির সাথে সাথে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তারা এখন নতুন পৃষ্ঠপোষক খুঁজছে। তারা তাদের কাছে আবেদন করার চেষ্টা করছে যারা আমাদের অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চায় না। রক্ত ও অশ্রুতে পরিণত হওয়া সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে তারা। তবে তারা যাই করুক না কেন, এটি নিরর্থক এবং অর্থহীন।’

এরদোগান এদিন জোর দিয়ে বলেন, ‘তারা যত বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে চাইবে, ততই তারা নির্মম পরিণতির দিকে ধাবিত হবে। যদি না তারা নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়, তবে তাদের সময় আরও কমে আসবে।’

বিদেশি শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়া যে কোনো ফল দেবে না এবং তুরস্ক যে এটি কখনই হতে দেবে না, সেই ব্যাপারেও সিরিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সতর্ক করে দিয়েছেন এরদোগান।

এ ব্যাপারে এখন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামনে কেবল দুটি বিকল্প খোলা আছে বলে জানান এরদোগান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কাছে মাত্র দুটি বিকল্প রয়েছে- সন্ত্রাসবাদ পরিত্যাগ করা এবং তাদের অস্ত্র তুলে দেওয়া, অথবা অনিবার্য নির্মূলের মুখোমুখি হওয়া।

এরপর এরদোগান বলেন, ‘আমাদের আশা আমাদের অঞ্চলকে সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে রক্তপাত বা ধ্বংস ছাড়াই মুক্ত করতে পারব। আমরা আমাদের সন্তানদের আরও শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ দেশ এবং অঞ্চল রেখে যেতে পারব বলে আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করি। যেখানে ভ্রাতৃত্ব সর্বোচ্চ রাজত্ব করবে।’

উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ বছর সিরিয়া শাসন করার পর গত ৮ ডিসেম্বর দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ বিরোধী গোষ্ঠীগুলি আসাদকে রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন। এরপর সেখানে দুই সপ্তাহ ধরে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে হায়াত হাতরির আল-শাম যোদ্ধারা। বর্তমানে আহমেদ আল-শারার (জুলানি) নেতৃত্বে একটি নতুন প্রশাসন দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।