মেক্সিকো সিটির একটি জাদুঘরে রাখা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মোমের মূর্তি ভেঙে ফেলেছেন এক অজ্ঞাত মুখোশধারী ব্যক্তি। লাল রঙে রাঙিয়ে হাতুড়ি দিয়ে মূর্তিটি ভাঙেন তিনি। 

বুধবার এনডিটিভির ভিডিওসহ এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখোশধারী ব্যক্তি প্রথমে নেতানিয়াহুর মূর্তিটিকে লাল রঙে রাঙিয়ে ফেলেছেন। এরপর মূর্তির ওপর হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালাচ্ছেন। 

ভিডিওতে মূর্তির পায়ের কাছেই একটি ফিলিস্তিনি পতাকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। যা একটি প্রতীকী প্রতিবাদের সূচনা বলে মনে হচ্ছে। ক্যামেরার সামনে ওই ব্যক্তি বলেছেন, দীর্ঘজীবী হোক ফিলিস্তিন, দীর্ঘজীবী হোক সুদান, দীর্ঘজীবী হোক ইয়েমেন, দীর্ঘজীবী হোক পুয়ের্তো রিকো। তার এই বক্তব্যে বিশ্বব্যাপী একে অপরকে সমর্থন জানিয়ে সহানুভূতির প্রকাশের পাশাপাশি যুদ্ধবিরোধী বার্তা ছিল। 

এই ঘটনার পর বিডিএস মেক্সিকো একটি বিস্তারিত ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, এই যুদ্ধাপরাধীকে (নেতানিয়াহু) নির্মূল করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। কারণ মেক্সিকো সিটির ওয়াক্স মিউজিয়াম তার মূর্তিকে ৪০ হাজার ফিলিস্তিনির রক্তে রাঙাতে ভুলে গেছে। 

তিনি আরও বলেছেন, আমি ইহুদিদের আলিঙ্গন করেই এই কাজ করছি। কারণ আমি তাদের খুবই ভালোবাসি। তাদের পরিচয়কে এই গণহত্যাকারী ছিনিয়ে নিয়েছে। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি নেতানিয়াহুর শাসনকালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানান। 

এছাড়া অপরাধীদের শহরে প্রবেশ ঠেকাতে এই ব্যক্তি বলেছেন, এ ধরনের যুদ্ধাপরাধীদের আমাদের শহরে স্বাগত জানানো হবে না। সবশেষে তিনি বলেছেন, সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সাম্রাজ্যবাদের মৃত্যু হোক। 

এই ঘটনার পর মেক্সিকো সিটির ওয়াক্স মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে এ ঘটনাটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিন সমর্থকদের মধ্যে তা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 

দখলদার ইসরাইলের মেক্সিকো দূতাবাস এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি একটি ‘ঘৃণ্য কাজ’। মূর্তি ভাঙার বিষয়টি হানাহানি, অসহিষ্ণুতা এবং ঘৃণার বার্তা দিচ্ছে বলেও দাবি করেছে তারা। ইসরাইলের দূতাবাস বলেছে, এটি বৈধ সমালোচনার কাজ নয়।