‘আমায় ধর্ষণ করে ওর বন্ধুরা, আর সৌদিতে বসে সেই ভিডিও দেখে স্বামী’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
প্রতীকী ছবি
২০১০ সালে বিয়ে করেন ৩৫ বছর বয়সি নারী। তিনি বর্তমানে এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার স্বামীর সংসারে চার সন্তান আছে। দুই ছেলে (১৩ ও ৩ বছর), দুই মেয়ে (১১ ও ৭ বছর)। স্বামী ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন সেই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বুলন্দশহরে।
নির্যাতিতার স্বামী সৌদি আরবে গাড়ির মেকানিক হিসেবে কাজ করেন। বছরে দুবার বাড়ি আসেন। নির্যাতিত নারী জানিয়েছেন, তিন বছর আগে একবার দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়ি আসে তার স্বামী। সেই সময় তাকে ধর্ষণ করতে 'অনুমতি' দেয় বন্ধুদের। দুজনেরই বাড়ি বুলন্দশহরে তাদের এলাকাতে।
স্বামীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের সেই নারী। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে এ ঘটনা ঘটছে। এবং তার স্বামীই এসব কাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী। তার স্বামী টাকার বিনিময় বন্ধুদের ধর্ষণ করতে দেয় তাকে। সেই ধর্ষণের আবার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। এবং সেই ভিডিও তার স্বামীর কাছে পাঠানো হয়। আমার স্বামী সৌদিতে বসে সেই ভিডিও দেখে।
অভিযোগকারীর স্বামী সৌদি আরবে কর্মসূত্রে থাকেন। সেখানে বসেই তার বন্ধুদের দ্বারা নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও বসে দেখেন। এই আবহে শেষ পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ করেছেন সেই নারী।
এ নিয়ে যখন আমি আমার স্বামীর কাছে অভিযোগ জানাই, তখন সে আমাকে মুখ বন্ধ করে থাকতে বলে। সে জানায়, স্ত্রীকে ধর্ষণের বদলে তার বন্ধুরা তাকে টাকা দেয়। নির্যাতিতা বলেন, এতদিন ধরে আমি আমার সন্তানদের কথা ভেবে চুপ করে ছিলাম। আমার স্বামী আমাকে বিবাহবিচ্ছেদের ভয় দেখাত।
এদিকে নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করেন, গ্রেফতারি এড়াতে বোনের স্বামী এবং অভিযুক্তরা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছে। এতদিন ধরে একা একা সব কিছু সহ্য করেছে আমার বোন। পরিবারের কথা ভেবে সে কিছু বলেনি। দুই সপ্তাহ আগে ওর স্বামী এসেছে দেশে। ওদের বড় ঝামেলা হয়। এই আবহে সে নিজের অধিকারের জন্য লড়াই করার সাহস পেয়েছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বুলন্দশহরের এসএসপি শ্লোক কুমার জানিয়েছেন, এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।