নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, ‘শত্রু’দের যে বার্তা দিলেন কিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২০ পিএম

কিম জং উন। ছবি: সংগৃহীত
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, সোমবারের (৬ জানুয়ারি) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে একটি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
কেসিএনএকে কিম জং উন বলেন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নির্ভরযোগ্যভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিহত করবে; যা আমাদের রাজ্যের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করতে পারে।
কিম আরও বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়েছিল। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিল, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড্ডয়ন করে।
কিমের মতে, এটি স্পষ্টতই আত্মরক্ষার জন্য একটি পরিকল্পনা, কোনও আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা কিংবা পদক্ষেপ নয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। সোমবার (৬ জানুয়ারি) পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন ছোড়া হয় তখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দেশটির রাজধানী সিউলে বৈঠক করছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুপুরের দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোকের সঙ্গে দেখা করার পরপরই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
গত বছরের ৫ নভেম্বর পূর্ব উপকূলে কমপক্ষে সাতটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর এটিই উত্তর কোরিয়ার প্রথম মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা।