যে কথা হলো মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের ফোনালাপে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ এএম
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান জিম্মি আলোচনার বিষয়ে মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তির ফোনকলে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য কাতারে পুনরায় আলোচনা শুরু হওয়ার পর এই ফোনকলের খবর এলো।
রোববার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
হোয়াইট হাউসের এক রিডআউটে বলা হয়েছে, ব্লিঙ্কেন এবং আবদেলাত্তি সিরিয়ায় আসাদ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
এতে আরো বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর চলমান প্রচেষ্টার সর্বশেষ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। যা জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করে, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বৃদ্ধি করে যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।
দুই শীর্ষনেতা সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আরও আলোচনা করেছেন। ব্লিঙ্কেন একটি প্রতিনিধিত্বমূলক এবং জবাবদিহিমূলক সরকারকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সিরিয়ার নেতৃত্বাধীন এবং সিরিয়ার মালিকানাধীন শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য মার্কিন সমর্থনের পুনর্নিশ্চিত করেছেন।
ব্লিঙ্কেন এই অঞ্চলে শান্তি রক্ষার জন্য মিশর যে ভূমিকা পালন করে চলেছে তার জন্য তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং মার্কিন-মিশর কৌশলগত অংশীদারিত্বের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজার যুদ্ধে ইসরাইল ৪৫ হাজার ৫০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজার ২.৩ মিলিয়ন লোকের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ক্ষুদ্র উপকূলীয় এলাকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২১ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে আসীন হওয়ার আগে গাজায় যুদ্ধবিরতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অথচ নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি যুদ্ধ বন্ধের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আরব-আমেরিকানদের প্রত্যাশা ছিল, নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে গাজা যুদ্ধ বন্ধে বড় পদক্ষেপ নিবেন ট্রাম্প। কিন্তু এখনো পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ এবং জিম্মি মুক্তি নিয়ে বড় কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
কাতারে নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।