তাইওয়ানকে আলাদা করে ‘এক চীন’ নীতি কেউ ঠেকাতে পারবে না: শি
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ এএম
![তাইওয়ানকে আলাদা করে ‘এক চীন’ নীতি কেউ ঠেকাতে পারবে না: শি](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/01/01/ezgif-5-fa1d37ed81-6774c08b7ac0a.jpg)
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, কোনো শক্তি তাইওয়ানের সাথে চীনের পুনরেকত্রীকরণ ঠেকাতে পারবে না। খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার শি চিন পিং এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চীনা প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্প্রচার করে। '
চীন মনে করে তাইওয়ান তাদেরই অংশ। তবে তাইওয়ান বিশ্বাসী নিজেদের স্বাধীনতায়। তাদের নিজস্ব সংবিধান আছে। তারা চীনের অংশ হতে চায় না। রক্ষা করতে চায় নিজেদের সার্বভৌমত্ব।
‘এক চীন’ নীতি বাস্তবায়ন করতে তাইওয়ানকে যেকোনো মূল্যে করায়ত্ত করতে চায় বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে নতুন বছরে চীনা প্রেসিডেন্টের এই বার্তা তারই প্রতিশ্রুতি।
গত এক বছরে, বেইজিং তাইওয়ানের উপর সামরিক চাপ জোরদার করেছে। যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান মোতায়েন করে নিয়মিত দ্বীপের চারপাশের জল এবং আকাশসীমায় নজরদারি করছে। এই মহড়াগুলোর অর্থ, চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জাহাজ ও বিমান দিয়ে দ্বীপটিকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখতে চায়।
ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, তাইওয়ান প্রণালীর দুপাশের মানুষ একই পরিবারের অংশ। কেউ আমাদের এ রক্তের বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। কেউ আমাদের মাতৃভূমির পুনরেকত্রীকরণের ঐতিহাসিক ধারাকে বন্ধ করতে পারবে না।
তাইওয়ান নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈরিতা আছে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ থেকে ‘এক চীন’ নীতি মেনে চললেও, সম্পর্ক এগিয়ে নেয় তাইওয়ানের সঙ্গেও। তাদের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও অস্ত্রের অন্যতম বড় বাজার তাইওয়ান।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যা নের করা তাইওয়ান অ্যাক্ট অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। একইসঙ্গে অস্ত্র বিক্রি, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগও রেখে চলছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত শাসনামলে তাইওয়ানের কাছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানে মার্কিন দূতাবাসের জন্য খরচ করা হয় ২৫০ মিলিয়ন ডলার।
১৯৭৯ সালের পর তাইওয়ানের এত ঘনিষ্ঠ আর কখনো হয়নি যুক্তরাষ্ট্র। জানুয়ারিতে আবার হােয়াইট হাউজে ক্ষমতায় আসীন হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তার আগে তাইওয়ান নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কড়া বার্তাও বটে।