বাথ শাসনামলে ১ লাখের বেশি সিরিয়ান জোরপূর্বক নিখোঁজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএইচআর) জানিয়েছে, বাথ শাসনামলে জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়া ১ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি সিরীয় নাগরিকের হিসাব পাওয়া যায়নি। যাদের অনেকে আটক অবস্থায় মারা গেছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
গত ৮ ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে ৬১ বছরের বাথ পার্টি শাসনের অবসান ঘটে। এরপর সিরিয়ার কারাগারে নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হতে থাকে।।
মানবাধিকার সংস্থাটির ডাটাবেসে প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার ব্যক্তির রেকর্ড রয়েছে। যারা বাথ শাসনামলে আটক বা জোরপূর্বক নিখোঁজ হয়েছে। সংস্থাটি সরকার পতনের পর থেকে প্রায় ২৪ হাজার বন্দিকে সিরিয়া জুড়ে বন্দি থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
এসএনএইচআরের চেয়ারম্যান ফাদেল আব্দুল গনি আনাদোলুকে জানিয়েছেন, গোষ্ঠীটি বর্তমানে ২৮ নভেম্বর আলেপ্পো, ৫ ডিসেম্বর হামা, ৭ ডিসেম্বর হোমস এবং ৮ ডিসেম্বর দামেস্কের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিবরণ যাচাই করছে।
আব্দুল গনি বলেছেন, সাম্প্রতিক মুক্তি বাদ দেওয়ার পর বাথ শাসনে আটক আরো ১ লাখ ১২ হাজার ৪১৪ ব্যক্তিদের খোঁজ মেলেনি এবং সম্ভবত তাদের হত্যা করা হয়েছে।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, যেহেতু তাদের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়নি, তারা এখনও জোরপূর্বক নিখোঁজ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে ... তারা এখনও জীবিত আছে এমন কোনও প্রমাণ নেই।
গনি বলেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবারের যন্ত্রণাকে দীর্ঘায়িত করতে সিভিল রেজিস্ট্রিগুলোতে মৃত্যুর রেকর্ড করতে বিলম্ব করেছে। সরকার মিথ্যা আশা দেওয়ার জন্য এই কৌশলটি ব্যবহার করেছিল।
তিনি উল্লেখ করেছেন, সিরিয়া জুড়ে কয়েক ডজন গণকবর অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। মাত্র কয়েকটি গণকবর উন্মোচন করা হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মৃতদেহ শনাক্ত করা এবং নিখোঁজদের পরিবারের নমুনার সাথে মিলানো একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া, শুধুমাত্র যখন মৃতদেহ শনাক্ত করা হয় তখনই জোরপূর্বক নিখোঁজদের ভাগ্য নিশ্চিত করা যায়।
এছাড়া গোপন ভূগর্ভস্থ কারাগারের গুজব সম্পর্কে পরিবারের মধ্যে মিথ্যা আশা জাগানোর বিরুদ্ধেও সতর্ক করেন।
গণি বলেন, শাসনামলের সব কারাগার ৮ ডিসেম্বরের পর খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে কেউ নেই, গোপন কারাগারও নেই।